Mini Cart

ঈদে মায়ের সাথে মেয়ের মাচিং ড্রেস: এক সাথে সেজে ঈদকে স্মরণীয় করে তুলুন

ঈদ হলো একটি বিশেষ দিন, যা আমরা প্রতি বছর উদযাপন করি পরিবারের সঙ্গে। এই দিনটি শুধু নতুন পোশাক পরার জন্য নয়, বরং একে অপরের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করার দিন। ঈদ উপলক্ষে আমরা সবাই চাই, আমাদের পোশাক যেন থাকে একেবারে স্টাইলিশ, ট্রেন্ডি এবং আরামদায়ক। আর মায়ের সঙ্গে ছোট্ট মেয়ের মাচিং ড্রেস পরলে ঈদ উদযাপন হয়ে ওঠে আরও আনন্দময় এবং বিশেষ।

আমরা জানি, ঈদ মানে শুধু পোশাক নয়, এটি আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক ও ভালোবাসার মুহূর্তগুলোকেও আরও সুন্দর করে তোলে। এখন, যদি আপনি মা এবং মেয়ে দু’জনের জন্য একসাথে মাচিং ড্রেস বেছে নিতে চান, তবে মেহজিনের কালেকশন হতে পারে আপনার জন্য সেরা পছন্দ। আসুন, এক নজরে দেখে নেয়া যাক কেন মাচিং ড্রেস হলো ঈদের জন্য পারফেক্ট চয়েস এবং কীভাবে মেহজিন আপনাকে দিচ্ছে সেরা ডিজাইনগুলো।

মাচিং ড্রেস: ঈদের নতুন ট্রেন্ড

মাচিং ড্রেসের ট্রেন্ড বর্তমানে দারুণভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ঈদে যখন পুরো পরিবার একসাথে উপভোগ করতে আসে, তখন মা ও মেয়ে একসাথে একই ডিজাইনে পোশাক পরা অনেক বেশি শোবার বিষয় হয়ে ওঠে। মাচিং ড্রেস পরলে যেমন একে অপরের প্রতি ভালোবাসা এবং সম্পর্কের গভীরতা প্রকাশ পায়, তেমনি এটি ভীষণ স্টাইলিশ এবং ট্রেন্ডি।

এখনকার যুগে মা এবং মেয়ে যখন একসাথে একই ডিজাইনের পোশাক পরেন, তখন এটি তাঁদের মধ্যে বিশেষ সম্পর্ককে আরও জোরদার করে তোলে। একে অপরকে সঙ্গ দিয়ে ঈদ উদযাপন করতে খুবই মজা। একই পোশাকে সেজে একসাথে পরিবারের ছবি তোলার মাধ্যমে স্মরণীয় করে তোলা যায় এই মুহূর্তগুলো।

মেহজিনের ঈদের জন্য বিশেষ কালেকশন

মেহজিন এবারের ঈদে মা ও মেয়ের জন্য আনার মধ্যে অত্যন্ত স্টাইলিশ এবং আরামদায়ক পোশাক। চলুন, একে একে দেখে নেয়া যাক মেহজিনের এই নতুন কালেকশনে কী কী বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

কাঠ ব্লক এবং এম্ব্রয়ডারি কাজ

মেহজিনের কালেকশনে রয়েছে বিশেষ কাঠ ব্লক এবং এম্ব্রয়ডারি কাজ। কাঠ ব্লক প্রিন্টিং পোশাকের ডিজাইনে একটি ঐতিহ্যবাহী এবং শীতল ভিউ তৈরি করে, যা ঈদে বেশ জনপ্রিয়। এম্ব্রয়ডারি কাজ পোশাকের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে এবং ঈদের দিন এটি আপনাকে এক্সক্লুসিভ এবং স্টাইলিশ দেখাবে। কাঠ ব্লক প্রিন্টের জামা এবং এম্ব্রয়ডারি কাজের প্যান্ট বা সালোয়ার একটি অভিজ্ঞান সৃষ্টি করে, যা পুরো ঈদে নজর কেড়ে নেয়।

জামা-সুতি সেলফ প্রিণ্টেড

মেহজিনের জামাগুলি সেলফ প্রিন্টেড সুতি কাপড়ে তৈরি, যা ঈদে পরতে অত্যন্ত আরামদায়ক। এই পোশাকের মূল আকর্ষণ হলো এর ডিজাইন এবং উপকরণ। আপনি যদি আরামদায়ক পোশাক পরতে চান, তবে এই জামাগুলি হতে পারে আপনার জন্য উপযুক্ত। এর নকশা অত্যন্ত আধুনিক এবং গতানুগতিক ঈদের পোশাকের বাইরে একটি নতুন ট্রেন্ড তৈরি করবে।

প্যান্ট এবং ওড়না – সুতি ফ্যাব্রিক

মেহজিনের প্যান্ট এবং ওড়না সুতি ফ্যাব্রিকে তৈরি, যা আরাম এবং শীতলতা প্রদান করে। আপনি যখন পুরোদিন ঈদ উদযাপন করবেন, তখন আপনি নিশ্চয় চাইবেন আপনার পোশাক যেন খুব আরামদায়ক হয়। এই সুতি প্যান্ট এবং ওড়না আপনাকে সারা দিন আরামে রাখতে সাহায্য করবে, সাথে সাথেই এটি ঈদের দিনের স্টাইলিশ লুক উপহার দেবে।

ঈদের পোশাকের এক্সেসরিজের গুরুত্ব

ঈদের পোশাক শুধু পোশাকের মাধ্যমে নয়, বরং এক্সেসরিজের মাধ্যমেও সম্পূর্ণ হয়ে ওঠে। ঈদের দিন যদি আপনি মাচিং ড্রেস পরেন, তবে এর সাথে সুন্দর কিছু এক্সেসরিজ যোগ করলে পুরো সাজ আরও ফুটে উঠবে। যেমন, সুন্দর কানের দুল, চুড়ি, কড়া, বা একটি কেতাদুরস্ত স্কার্ফ আপনার সাজে যোগ করতে পারে নতুন রঙ। এই সব এক্সেসরিজের সঙ্গে মেহজিনের জামা এবং প্যান্টগুলো হবে একেবারে নিখুঁত।

মাচিং ড্রেসের ফটোগ্রাফি এবং স্মৃতি তৈরি

ঈদ মানে শুধু পোশাক পরা নয়, এটি বিশেষ মুহূর্তগুলোকে স্মরণীয় করে তোলার দিন। মায়ের সাথে ছোট্ট মেয়ের মাচিং ড্রেস পরা অবস্থায় একটি ফটোগ্রাফি আপনার জন্য একটি চিরস্থায়ী স্মৃতি হয়ে থাকবে। এটি সারা জীবন মনে থাকবে, যখন আপনি এবং আপনার মেয়ে একসাথে ঈদের আনন্দে মেতে উঠবেন। একে অপরকে আঁকড়ে ধরে ছবি তুলুন এবং সেই মুহূর্তকে চিরকাল ধরে রাখুন।


ঈদে পরিবার এবং পোশাকের একসাথে আনন্দ

ঈদ আসলে একটি পারিবারিক উৎসব, যেখানে পরিবারের সদস্যরা একসাথে আনন্দ ভাগ করে নেন। মাচিং ড্রেসের মাধ্যমে মা এবং মেয়ে একসাথে ঈদ উদযাপন করতে পারেন। এটি শুধু একটি স্টাইল স্টেটমেন্ট নয়, বরং একটি গূঢ় অনুভূতি প্রকাশ। এটা জানিয়ে দেয় যে, আপনি এবং আপনার সন্তান একে অপরকে ভালোবাসেন এবং এই ভালোবাসাকে পরিবারিক ফটোগ্রাফিতে ফুটিয়ে তুলছেন।

শেষ কথা

এই ঈদে মেহজিনের বিশেষ কালেকশনের মাধ্যমে আপনার পরিবারকে সাজিয়ে তুলুন। মায়ের সাথে ছোট্ট মেয়ের মাচিং ড্রেস পরলে ঈদের আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে উঠবে। কাঠ ব্লক এবং এম্ব্রয়ডারি কাজের জামা, সুতির কাপড়ে তৈরি প্যান্ট ও ওড়না, আর এক্সেসরিজের সাথে সেজে ঈদের দিনটিকে বিশেষ করে তুলুন।

মেহজিনের কালেকশনের প্রতিটি পোশাক আপনার ঈদ উদযাপনকে আরো প্রাণবন্ত এবং স্মরণীয় করে তুলবে। তাই, একসাথে পরিবারসহ সাজুন, আনন্দ করুন এবং ঈদের পরিপূর্ণ মজা উপভোগ করুন!

ঈদে পরিবারের সেরা পোশাকের জন্য মেহজিনকে বেছে নিন!

ভ্যালেন্টাইনস ডে ও পহেলা ফাল্গুন: প্রেম ও বসন্তের আনন্দ – Mehzin Brand এর স্পেশাল কালেকশন যা আপনার ভালোবাসা ও বসন্তের উৎসবকে আকর্ষণীয় করবে।

 ভ্যালেন্টাইনস ডে এবং পহেলা ফাল্গুন: ভালোবাসা ও বসন্তের রঙিন উৎসব

ফেব্রুয়ারি মানেই ভালোবাসা আর রঙের মেলবন্ধন! ভ্যালেন্টাইনস ডে (১৪ ফেব্রুয়ারি) আর পহেলা ফাল্গুন (১৪ ফেব্রুয়ারি) একই দিনে পড়লে উৎসবের আনন্দ যেন আরও দ্বিগুণ হয়ে যায়। এই দিনটি আমাদের জীবনে ভালোবাসা আর নতুন জীবনের বার্তা নিয়ে আসে।

ভ্যালেন্টাইনস ডে’র আনন্দ


ভ্যালেন্টাইনস ডে হলো প্রিয়জনদের প্রতি ভালোবাসা ও যত্ন প্রকাশের দিন। গোলাপ, চকোলেট, ছোট ছোট উপহার, কিংবা একটি স্পেশাল ডিনার—সবই সম্পর্কের উষ্ণতা বাড়ানোর উপায়।

পহেলা ফাল্গুনের উজ্জ্বলতা


বাংলার বসন্ত শুরু হয় পহেলা ফাল্গুনে। চারপাশ ভরে যায় সরিষা ফুলের হলুদ এবং পলাশের লালে। হলুদ-কমলা শাড়ি, খোপায় ফুল, আর গান-বাজনায় মেতে ওঠে সবাই।

দুই উৎসবের মিশ্রণ


ভ্যালেন্টাইনস ডে আর পহেলা ফাল্গুন একসাথে মানে রঙ আর ভালোবাসার চমৎকার মিশেল। একদিকে প্রেমের উষ্ণতা, অন্যদিকে বসন্তের রঙিনতা—এই দিনটিকে করে তোলে আরও বিশেষ।

ভ্যালেন্টাইন এবং ফাল্গুন: প্রেম এবং উৎসবের মেজাজে পোশাক

 

ভ্যালেন্টাইন ডে এবং ফাল্গুন মানেই ভালোবাসা এবং রঙের উৎসব। এই দুটি বিশেষ দিনকে উদযাপন করার জন্য মেহজীন ব্র্যান্ডের পোশাকগুলো একদম সঠিক পছন্দ। আপনি যদি ভ্যালেন্টাইন ডে বা ফাল্গুনের উৎসবের জন্য কিছু সুন্দর পোশাক খুঁজছেন, তাহলে মেহজীন এর কালেকশন আপনাকে দেবে এক নতুন রকমের স্টাইল এবং স্বাচ্ছন্দ্য।

১. হাফ সিল্ক শাড়ি (ভ্যালেন্টাইন ডে):

ভ্যালেন্টাইন ডে তে একে অপরকে ভালোবাসার অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য এই হাফ সিল্ক শাড়ি উপযুক্ত। এই শাড়ির সিল্ক এবং সুতির মিশ্রণ আপনাকে দিবে এক আরামদায়ক এবং ক্লাসি লুক। লাল বা গোলাপি রংয়ের শাড়ি এই দিনটির জন্য একদম পারফেক্ট।
রং: লাল, গোলাপি, সোনালি।

২. মিক্সড কটন শাড়ি (ফাল্গুন):

ফাল্গুনে বা বসন্তের দিনগুলিতে হালকা এবং আরামদায়ক শাড়ি পরা অনেক ভালো। মিক্সড কটন শাড়ি এমন একটি পোশাক যা গরমের দিনে খুবই আরামদায়ক এবং ফাল্গুনের ফুলেল পরিবেশে একেবারে মানানসই।
রং: পিচ, গোলাপি, প্যাস্টেল শেড।

৩. তসর শাড়ি (ফাল্গুন/ভ্যালেন্টাইন):

তসর শাড়ি একটি ভারী এবং ঐতিহ্যবাহী পোশাক, যা আপনাকে বিশেষ অনুষ্ঠানে বিশেষ অনুভূতি দিবে। যদি আপনি ভ্যালেন্টাইন ডে বা ফাল্গুনের জন্য একটু আনকমন এবং স্টাইলিশ পোশাক খুঁজছেন, তাহলে তসর শাড়ি একদম সঠিক পছন্দ।
রং: সোনালি, ম্যারুন, বেগুনি।

৪. মসলিন শাড়ি (ফাল্গুন):

ফাল্গুনে বা বসন্তের ঋতুতে মসলিন শাড়ি পরলে আপনাকে খুবই হালকা এবং আরামদায়ক অনুভূতি হবে। মসলিন শাড়ি গরমে পরা অনেক সহজ এবং আপনাকে পুরোপুরি সতেজ রাখবে।
রং: ক্রিম, সাদা, ল্যাভেন্ডার।

৫. পাঞ্জাবি (ভ্যালেন্টাইন/ফাল্গুন):

ভ্যালেন্টাইন ডে বা ফাল্গুনের মতো উৎসবে, মেহজীন ব্র্যান্ডের পাঞ্জাবি পরলে আপনি দেখতে পাবেন এক নতুন স্টাইল। এটি খুবই আরামদায়ক এবং সুন্দর, যা পূজা বা বিশেষ অনুষ্ঠানে পরিধান করতে পারবেন।
রং: অফ-হোয়াইট, নেভি ব্লু, বোতল সবুজ, কালো।

৬. থ্রি-পিস (ফাল্গুন/ভ্যালেন্টাইন):

থ্রি-পিস একটি জনপ্রিয় পোশাক যা কামিজ, সালোয়ার এবং ওড়নার সমন্বয়ে তৈরি। এটি একদম আধুনিক এবং স্টাইলিশ, যা আপনাকে ভ্যালেন্টাইন বা ফাল্গুনের বিশেষ দিনগুলিতে খুবই স্মার্ট এবং আরামদায়ক করবে।
রং: প্যাস্টেল, মেরুন, নেভি ব্লু, গোলাপি।

ভ্যালেন্টাইন এবং ফাল্গুনের জন্য মেহজীন ব্র্যান্ডের পোশাক কেন নির্বাচন করবেন?

১. আধুনিক এবং ঐতিহ্যবাহী ডিজাইন: মেহজীন ব্র্যান্ডের পোশাকগুলোতে স্টাইলের সাথে ঐতিহ্যও সুন্দরভাবে মিশে আছে, যা আপনাকে দিবে একটি নতুন আভা।

২. আরামদায়ক কাপড়: এই পোশাকগুলোতে ব্যবহৃত কাপড় খুবই আরামদায়ক, যা আপনাকে দীর্ঘ সময় স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

৩. বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত: আপনি যদি ভ্যালেন্টাইন ডে বা ফাল্গুনের মতো উৎসবের জন্য কোনো পোশাক খুঁজছেন, তাহলে মেহজীন ব্র্যান্ডের পোশাকগুলো একদম সঠিক পছন্দ হবে।

এবার আপনি নিশ্চিন্তে মেহজীন ব্র্যান্ডের পোশাক পরুন এবং আপনার ভ্যালেন্টাইন ডে ও ফাল্গুনের উৎসবকে আরও রঙিন ও স্মরণীয় করে তুলুন।

 

 মেহজীন ব্র্যান্ড – স্টাইল আর ঐতিহ্যের অসাধারণ মিল। আপনার ব্যক্তিত্বকে আরও উজ্জ্বল করতে মেহজীনের কালেকশনই সেরা। এখনই সংগ্রহ করুন!

উদযাপন হোক আরও অর্থবহ এই দিনটিকে আরও বিশেষ করতে বন্ধুদের নিয়ে আয়োজন করুন হলুদ পোশাকের গেট টুগেদার  কিংবা রান্না করুন বাংলাদেশি খাবারে ভরা রোমান্টিক ডিনার ।

 এই  ১৪ ফেব্রুয়ারি , ভালোবাসা আর রঙে ভরিয়ে দিন আপনার দিনটি। হাসি , আনন্দ  আর রঙিন উৎসবে মেতে উঠুন , আর দিনটিকে করে তুলুন সত্যিই স্মরণীয়! 

তাহলে আর দেরি কেনো? এখুনি যোগাযোগ করুন

আপনার পছন্দের মসলিন শাড়ির স্টক শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অর্ডার করুন। অথবা, সরাসরি আমাদের শো রুমে ভিজিট করে, আকর্ষণীয় মূল্য ছাড়ে আপনার পছন্দের মসলিন শাড়ি সংগ্রহ করুন। 

পছন্দের মসলিন শাড়ি অনলাইনে অর্ডার করতে আপনার নাম, মোবাইল নাম্বার ও ঠিকানাসহ ইনবক্স করুন- m.me/mehzin.retail

অথবা, সরাসরি আমাদের আউটলেট থেকে পার্চেজ করুন।

আউটলেট লোকেশনঃ এফ এস স্কয়ার, লেভেল-৩, শপ নাম্বার
৪২৮-৪২৯, মিরপুর ১০ গোলচত্তর মেট্রোরেল স্টেশনের সাথে, মিরপুর ১০, ঢাকা।

পহেলা বৈশাখ কি?

পহেলা বৈশাখ বা পয়লা বৈশাখ (বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস বৈশাখের ১ তারিখ) বঙ্গাব্দের প্রথম দিন, তথা বাংলা নববর্ষ। দিনটি সকল বাঙালি জাতির ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের দিন। দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়।

পহেলা বৈশাখের ইতিহাস

পহেলা বৈশাখের যে উৎসব তার আতুড়ঘর, সৃষ্টির ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে রাজা-বাদশাহদের প্রাসাদে। নববর্ষ অর্থাৎ নতুন বছর, একেবারে নির্দিষ্ট করে বললে বলতে হয় নতুন বঙ্গাব্দর জন্ম মোগল বাদশাহ আকবরের দরবারে। আকবরই এই সনের প্রবর্তক।

এক সময় নববর্ষ পালিত হতো আর্তব উৎসব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির, কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। এই কৃষিকাজের সুবিধার্থেই মুগল সম্রাট আকবর ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০/১১ মার্চ বাংলা সন প্রবর্তন করেন এবং তা কার্যকর হয় তাঁর সিংহাসন-আরোহণের সময় থেকে (৫ নভেম্বর ১৫৫৬)। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌরসনকে ভিত্তি করে বাংলা সন প্রবর্তিত হয়। নতুন সনটি প্রথমে ‘ফসলি সন’ নামে পরিচিত ছিল, পরে তা বঙ্গাব্দ নামে পরিচিত হয়।

সে সময় বাংলার কৃষকরা চৈত্রমাসের শেষদিন পর্যন্ত জমিদার, তালুকদার এবং অন্যান্য ভূ-স্বামীর খাজনা পরিশোধ করত। পরদিন নববর্ষে ভূস্বামীরা তাদের মিষ্টিমুখ করাতেন। এ উপলক্ষে তখন মেলা এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো। ক্রমান্বয়ে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিশে পহেলা বৈশাখ আনন্দময় ও উৎসবমুখী হয়ে ওঠে এবং বাংলা নববর্ষ শুভদিন হিসেবে পালিত হতে থাকে।

পহেলা বৈশাখের অন্যরকম আবহ

বাঙালির সবচেয়ে বড় সর্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখ উদযাপনের মধ্য দিয়ে বরণ করা হবে নতুন বাংলা বছর ১৪৩১। এবারের পহেলা বৈশাখের অন্যরকম আবহ। ঈদের ছুটির পরপরই পহেলা বৈশাখ। আর তাই সরকারি বেসকারি চাকরিজীবী, পেশাজীবীরা ৬-৭ দিনের ছুটি পেয়েছেন। ঈদের আনন্দের পরপরই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের আনন্দে মেতে উঠবে দেশবাসী। এমনটা এর আগে দেখা যায়নি খুব একটা।

পহেলা বৈশাখের রং কেন লাল-সাদা?

বৈশাখের চিরায়ত রং সাদা-লালের চল কেন বা কবে থেকে, এ নিয়ে রয়েছে মতভেদ।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে বৈশাখের আয়োজন ছিল হালখাতা কেন্দ্রিক। হালখাতার মোড়কের রং লাল এবং ভেতরের পাতার রং সাদা। সেখান থেকে বৈশাখে সাদা-লাল আসতে পারে কিংবা মোগল আমলে বাদশাহকে খাজনা দেওয়ার সময় লাল সালু কাপড়ে বেঁধে দেওয়া হতো। সেই থেকেই লাল রং আমাদের বৈশাখে চলে এসেছে। অন্যদিকে সাদা হচ্ছে শুভ্রতার প্রতীক।। আবার হিন্দু নারীদের বৈশাখে পূজা-পার্বণে সাদা-লাল শাড়ি পরা থেকেও এই চল আসতে পারে। বাঙালির যেকোনো উত্সবেই লাল রঙের আধিপত্য লক্ষণীয়। যেহেতু বৈশাখের প্রথম দিন প্রায় সময়ই বেশ গরম থাকে, তাই স্বস্তির কারণেও সাদা-লাল সর্বজনীনতা পেয়েছে।

বাংলা নববর্ষের রীতি-নীতি

সম্রাট আকবরের শাসনামল থেকে পহেলা বৈশাখের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও পরবর্তিতে বিভিন্ন বাঙ্গালি রীতি-নীতি আমাদের বর্ষ বরণে স্থান পেয়েছে। সেগুলোর কিছু অংশ এখানে তুলে ধরা হলো-

  • গ্রামীন রীতি-নীতিঃ এ রীতি অনুসারে ভোর সকালে কৃষকেরা নতুন জামা গায়ে দিয়ে পরিবারের সাথে নানান পদের ভর্তা দিয়ে পান্তা ভাত, পিঠা-পুলি, মিষ্টি খেয়ে দিনটি সূচনা করে। তাছাড়া, কয়েকটি গ্রাম মিলে বৈশাখী মেলার আয়োজন করতো। সেখানে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরাও তাদের পণ্য মেলায় উঠাতেন। কেউ মাছ, কেউ খেলনা, কেউবা শাড়ি-চুড়ি, চুলের ফিতা। ধারণা করা হয় আমাদের ইলিশ মাছ খাবার ঐতিহ্য এই মেলা থেকেই এসেছে।
  • রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ ও মঙ্গল-শোভাযাত্রাঃ প্রতি বছর রমনার বটমূলে ছায়ানটের গানের অনুষ্ঠান থাকে। সূর্য উঠার সাথে সাথে নতুন বছরের মঙ্গল কামনায় রমনার বটমূল গানে গানে মুখরিত হয়ে উঠে। সকলে মিলে একই সুরে গেয়ে ওঠে-“এসো, হে বৈশাখ এসো এসো”। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে গ্রামীন সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে বিভিন্ন মুখোশ ও মুর্তি বানিয়ে ঢাকার রাস্তায় শোভাযাত্রা করে বরণ করা হয় নতুন বছরকে। এই শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারে সকলেই।
  • প্রাচীন বউমেলা ও ঘোড়ামেলাঃ সোনারগাঁও এ ঈসা খাঁ এর আমলে বউমেলা হতো। সেখানে স্থানীয় বটতলায় কুমারী, নববধূ ও মায়েরা তাদের মনের ইচ্ছা পূরণে পূজা করতো। পাঁঠা বলি দেয়া হতো আগে। তবে এখন শান্তির বার্তার আশায় তারা দেবীর কাছে কবুতর বা পায়রা উড়িয়ে দেয়। এছাড়াও সোনারগাঁও এ ঘোড়ামেলারও প্রচলন ছিলো। লোকমুখে প্রচলিত আছে যে, আগে যামিনী সাধন নামের এক ব্যক্তি নববর্ষের দিন ঘোড়া চড়ে সবাইকে প্রসাদ দিত। তার মৃত্যুর পরে সেখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ বানানো হয় এবং পরবর্তীতে এটিকে কেন্দ্র করে মেলার আয়োজন হয়। আগে মাটির ঘোড়া রাখা হতো, এরপর থেকে মেলায় নাগর-দোলা, চরকা, ঘোড়ার আকারে ঘূর্ণী দোলনা রাখা হয়।

পহেলা বৈশাখের আমেজে বৈশাখী শাড়ি

বাঙালি নারীর কাছে শাড়ি হলো সৌন্দর্যের ব্যাকরণ। উৎসবে-পার্বণে বাঙালি নারীরা শাড়িকেই বেছে নেন। আর সেই উৎসব যদি হয় বাংলা নববর্ষ, তবে নারীদের পছন্দের তালিকায় অবশ্যই সবচেয়ে ওপরে থাকে শাড়ি। 

আপনার পহেলা বৈশাখকে রাঙ্গিয়ে তুলতে এবারে মেহজিন ব্রান্ড অসাধারণ কিছু শাড়ির কালেকশন নিয়ে হাজির হয়েছে।

 

তুলিঃ ব্লেন্ডেড তসর সিল্কের দারুন কোমল এক শাড়ি, যার নাম দেওয়া হয়েছে তুলি। আকর্ষণীয় শাড়িটি বৈশাখে আপনাকে অন্যদের চেয়ে আরো বেশি সুন্দর করে তুলবে।

পালকিঃ ব্লেন্ডেড তসর সিল্কের আরেকটি শাড়ি, যার নাম দেওয়া হয়েছে পালকি। আকর্ষণীয় শাড়িটি বৈশাখে আপনাকে অন্যদের চেয়ে আরো বেশি সুন্দর করে তুলবে।

শোভাঃ ব্লেন্ডেড তসর সিল্কের আরেকটি শাড়ি, যার নাম দেওয়া হয়েছে শোভা। আকর্ষণীয় শাড়িটি বৈশাখে আপনাকে অন্যদের চেয়ে আরো বেশি সুন্দর করে তুলবে।

বৈশাখে নিজেকে সবার সামনে আরো আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করতে আপনার পছন্দের শাড়ি এখুনি অর্ডার করুন, স্টক লিমিটেড। 

পছন্দের শাড়িটি অর্ডার করতে অনলাইনে অর্ডার করতে আপনার নাম, মোবাইল নাম্বার ও ঠিকানাসহ ইনবক্স করুন- m.me/mehzin.retail

অথবা, সরাসরি আমাদের আউটলেট থেকে পার্চেজ করুন।

আউটলেট লোকেশনঃ এফ এস স্কয়ার, লেভেল-৩, শপ নাম্বার
৪২৮-৪২৯, মিরপুর ১০ গোলচত্তর মেট্রোরেল স্টেশনের সাথে, মিরপুর ১০, ঢাকা।

// unique code for spin unique email

রাজশাহীতে মেহজিনের নতুন ব্রাঞ্চ উদ্বোধন উপলক্ষে, স্পিন করে আকর্ষণীয় সব অফার লুফে নিন।

  • Note: 1 Spin per number in a Day.
Try Your Luck
Never
Remind later
No thanks