fbpx

Mini Cart

মেহজিনের পূজা কালেকশন ২০২৪ – ঐতিহ্য আর আধুনিকতার মেলবন্ধন

দূর্গা পূজা বাঙালির জীবনে এক অনন্য উৎসব। এই সময়ে আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের যান্ত্রিকতা ছেড়ে পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে মিলিত হয়ে আনন্দ করি। পূজার প্রতিটি মুহূর্তকে সুন্দর ও স্মরণীয় করে তোলার একটি বড় অংশ হলো নিজের সাজসজ্জা। মেহজিন এবার দূর্গা পূজা ২০২৪ উপলক্ষে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে এক অনন্য এবং বৈচিত্র্যময় শাড়ি ও ড্রেস কালেকশন। এই কালেকশনটি পূজার ঐতিহ্যবাহী শাড়ির রূপকে আধুনিকতার ছোঁয়ায় নতুন করে সাজিয়েছে, যাতে আপনার পূজার সাজ হয় অনন্য এবং স্মরণীয়।

পূজা কালেকশন ২০২৪ – মেহজিনের বৈচিত্র্য

মেহজিনের পূজা কালেকশনে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শাড়ি, থ্রি-পিস, টু-পিস, এবং ওয়ান-পিস পোশাক, যা প্রতিটি বাঙালি নারীর পূজার সাজকে করবে আরও বিশেষ। আমাদের প্রতিটি শাড়ি এবং ড্রেসের ডিজাইন এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে আপনি একদিকে পাবেন ঐতিহ্যবাহী সাজ এবং অন্যদিকে থাকবে আধুনিকতার ছোঁয়া।

শাড়ি: শাড়ি ছাড়া পূজার সাজ অসম্পূর্ণ। মেহজিনের পূজা কালেকশনে রয়েছে ব্লেন্ডেড তসর, প্রিমিয়াম কটন, এবং প্রিমিয়াম কটন মিক্স শাড়ি। প্রতিটি শাড়িতে ডিজিটাল প্রিণ্ট, স্ক্রিন প্রিণ্ট, এবং হাতের কাজ করা রয়েছে, যা শাড়িগুলোকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলেছে। শাড়িগুলো সম্পূর্ণ আরামদায়ক এবং সহজে পরিধানযোগ্য, যা আপনাকে পূজার দিনগুলোতে স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে সজ্জিত করবে।

থ্রি-পিস ও টু-পিস: মেহজিনের থ্রি-পিস এবং টু-পিস সেটগুলো আপনার পূজার দিনগুলোকে করবে আরও উজ্জ্বল। সুতি কাপড়ে তৈরি এই ড্রেসগুলো পুরোপুরি আরামদায়ক, যাতে আপনি সারা দিন পূজার আনন্দে মগ্ন থাকতে পারেন। প্রতিটি ড্রেসে রয়েছে আকর্ষণীয় কাজ এবং স্টাইল, যা পূজার সাজে নতুনত্ব নিয়ে আসবে।

শাড়ির বিস্তারিত বিবরণ:

রাধিকা – ব্লেন্ডেড তসর শাড়ি

মূল্য: ৳ 1,980.00
বর্ণনা:
রাধিকা হলো একটি ক্লাসিক ব্লেন্ডেড তসর শাড়ি, যা নরম এবং আরামদায়ক। শাড়িটির ডিজিটাল প্রিণ্ট কাজ এটিকে আরও আকর্ষণীয় করেছে। পূজার বিশেষ দিনগুলোতে এটি আপনার সাজে আভিজাত্য আনবে।
ব্লাউজ পিস: রানিং ব্লাউজ পিস রয়েছে।
লম্বা ও বহর: ১৩.৫ হাত লম্বা এবং ২.৫ হাত বহর, যা পরিমাপে সামান্য কম-বেশি হতে পারে।

উদয়শ্রী – প্রিমিয়াম কটন মিক্স শাড়ি

মূল্য: ৳ 2,550.00
বর্ণনা:
উদয়শ্রী হলো প্রিমিয়াম কটন মিক্স শাড়ি, যা স্ক্রিন প্রিণ্ট এবং হাতের নকশী-কাথার কাজ সমৃদ্ধ। শাড়িটি অত্যন্ত আরামদায়ক এবং দীর্ঘ সময় পরিধান করার উপযোগী। পূজার দিনে এই শাড়ি আপনার সাজে নিয়ে আসবে সৌন্দর্য এবং স্বাচ্ছন্দ্য।
ব্লাউজ পিস: রয়েছে।

মুনতাহা – ব্লেন্ডেড তসর শাড়ি

মূল্য: ৳ 1,980.00
বর্ণনা:
মুনতাহা হলো ব্লেন্ডেড তসর শাড়ি, যা ডিজিটাল প্রিণ্ট এবং গর্জিয়াস কাজের সমন্বয়ে তৈরি। এই শাড়িটি পূজার দিনের সাজকে করবে আরও উজ্জ্বল এবং অনন্য।
ব্লাউজ পিস: রানিং ব্লাউজ পিস রয়েছে।
লম্বা ও বহর: ১৩.৫ হাত লম্বা এবং ২.৫ হাত (৪৬”) বহর।

Sale

36, 38, 40, 42, 44, 46

হিমু – থ্রি-পিস

৳ 1,664.00

হিমু – থ্রি-পিস ড্রেস

মূল্য: ৳ 2,080.00
বর্ণনা:
হিমু একটি আরামদায়ক থ্রি-পিস সেট, যেখানে জামা, সালোয়ার, এবং ওড়না তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে উচ্চ মানের সুতি কাপড়। এতে গর্জিয়াস কাজ করা হয়েছে, যা পূজার দিনগুলোতে আপনাকে আরও আভিজাত্যপূর্ণ করে তুলবে।
ফ্যাব্রিক: সুতি।
সাইজ: ৩৬-৪৬ সাইজে উপলব্ধ।

Sale

36, 38, 40, 42, 44, 46

স্পর্শা – টু-পিস

৳ 2,040.00

স্পর্শা – টু-পিস ড্রেস

মূল্য: ৳ ২,৪০০.০০
বর্ণনা:
স্পর্শা হলো একটি আকর্ষণীয় টু-পিস ড্রেস, যা পূজার দিনে আপনার সাজকে করবে আরও অনন্য। সুতি কাপড়ের তৈরি এই ড্রেসটি আরামদায়ক এবং আধুনিক।
ফ্যাব্রিক: সুতি।
সাইজ: ৩৬-৪৬ সাইজে পাওয়া যাচ্ছে।

শাড়ি এবং ড্রেসের বৈশিষ্ট্য:

ডিজাইন ও কাজের বৈচিত্র্য:

মেহজিনের প্রতিটি শাড়ি এবং ড্রেসে রয়েছে আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং গর্জিয়াস কাজ, যা প্রতিটি পোশাককে করে তোলে অনন্য। শাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে হাতের নকশী-কাথার কাজ, স্ক্রিন প্রিণ্ট, এবং ডিজিটাল প্রিণ্ট, যা প্রতিটি শাড়ির সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

ফ্যাব্রিকের মান:

প্রতিটি শাড়ি এবং ড্রেস তৈরি করা হয়েছে উচ্চ মানের ফ্যাব্রিক দিয়ে, যেমন ব্লেন্ডেড তসর, প্রিমিয়াম কটন, এবং সুতি। এই ফ্যাব্রিকগুলো পরিধানে আরামদায়ক এবং সহজেই পরিবহনযোগ্য।

মেহজিনের অন্যান্য শাড়ি এবং ড্রেসের বিবরণ:

Sale

36, 38, 40, 42, 44, 46

 
নাসিতা – ওয়ান পিস ড্রেস

মূল্য: ৳ ১,১২০.০০
এই ড্রেসটি তৈরি করা হয়েছে সুতি কাপড়ে এবং এর ডিজাইন অত্যন্ত আকর্ষণীয়।

 

নিলাশা – প্রিমিয়াম কটন মিক্স শাড়ি
মূল্য: ৳ ১,৯২৫.০০
নীলাশা শাড়িটি স্ক্রিন প্রিণ্টের কাজ সমৃদ্ধ এবং এটি আপনার পূজার সাজে আভিজাত্য যোগ করবে।

 

উর্বশী – ব্লেন্ডেড তসর শাড়ি
মূল্য: ৳ ১,৯৮০.০০
উর্বশী শাড়িতে ডিজিটাল প্রিণ্ট এবং গর্জিয়াস কাজ রয়েছে, যা পূজার সাজে আলাদা সৌন্দর্য আনবে।

Sale

36, 38, 40, 42, 44, 46

মৃদুলা – থ্রি-পিস

৳ 1,792.00


মৃদুলা – থ্রি-পিস ড্রেস
মূল্য: ৳ ২,২৪০.০০
মৃদুলা থ্রি-পিস ড্রেসটি সুতির তৈরি, যা পূজার সময় আরামদায়ক এবং স্টাইলিশ।

কেন মেহজিনের শাড়ি ও ড্রেস বেছে নেবেন?

আরামদায়ক ফ্যাব্রিক: প্রতিটি শাড়ি এবং ড্রেস তৈরি করা হয়েছে এমনভাবে, যাতে পূজার দিনগুলোতে আপনাকে আরাম এবং স্বাচ্ছন্দ্য দেয়। মেহজিনের শাড়ি এবং ড্রেসগুলো দীর্ঘ সময় পরিধানের জন্য আদর্শ।

আকর্ষণীয় ডিজাইন: মেহজিনের প্রতিটি শাড়ি এবং ড্রেসে রয়েছে ইউনিক ডিজাইন এবং আধুনিক কাজ, যা পূজার সাজকে করবে আরও বিশেষ এবং স্টাইলিশ।

সুলভ মূল্য: আমাদের প্রতিটি শাড়ি এবং ড্রেসের দাম অত্যন্ত সাশ্রয়ী। মেহজিনের লক্ষ্য হলো গ্রাহকদের সাধ্যের মধ্যে সেরা ফ্যাশন উপহার দেওয়া।

ক্যাশ অন ডেলিভারি এবং সহজ ডেলিভারি ব্যবস্থা: বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্তে আমরা আমাদের পণ্য ডেলিভারি দিচ্ছি, সাথে রয়েছে ক্যাশ অন ডেলিভারি সুবিধা।

অর্ডার করার উপায়

মেহজিনের পূজা কালেকশন ২০২৪ থেকে শাড়ি বা ড্রেস কিনতে, আমাদের ওয়েবসাইট www.mehzin.net ভিজিট করুন। আমাদের প্রতিটি শাড়ি এবং ড্রেস বিশেষ যত্নের সাথে তৈরি, যা আপনার পূজার সাজকে করবে অনন্য।
আমাদের শপ এড্রেস: এফ এস স্কোয়ার, লেভেল – ৪, শপ নাম্বার ৪২৮-৪২৯, মিরপুর – ১০, গোলচত্তর, ঢাকা-১২১৬
আমাদের ফেসবুক পেজ: https://m.me/mehzin.retail

জানেন তো মেহজিন ওয়েবসাইট থেকে অর্ডার করলে ডেলিভারি চার্জ একদম ফ্রী!!

[bkash_token_test]
[bkash_payment_test]

মসলিন শাড়ি কি?

মসলিন বিশেষ এক ধরনের তুলার আঁশ থেকে প্রস্তুতকৃত সূতা দিয়ে বয়ন করা এক প্রকারের অতি সূক্ষ্ম কাপড় বিশেষ। মসলিন তুলার আঁশ থেকে প্রস্তুত করা এক প্রকারের অতি সুক্ষণ কাপড়। এটি প্রস্তুত করা হতো পূর্ব বাংলার সোনারগাঁও অঞ্চলে। মসলিনে তৈরী করা পোশাকসমূহ এতই সুক্কণ ছিলো যে ৫০ মিটার দীর্ঘ মসলিনের কাপড়কে একটি দেশলাই বাক্সে ভরে রাখা যেতো। ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মসলিন উৎপাদন করা হত; তবে বাংলার প্রধান উৎপাদন ক্ষেত্র ছিল ঢাকা ও মুর্শিদাবাদ

মসলিন শাড়ি নামকরণের ইতিহাস

মসলিন কি কেবলই কাপড়? এই বাংলাদেশের ঐতিহ্যের কথা বললে, ইতিহাসের কথা বললে মসলিনকে বাদ দেওয়ার কোনো উপায়ই যে নেই।  এস. সি. বার্নেল ও হেনরি ইউল নামের দুজন ইংরেজ কর্তৃক প্রকাশিত অভিধান ‘হবসন জবসন'-এ উল্লেখ করা হয়েছে মসলিন শব্দটি এসেছে ‘মসুল' থেকে। ইরাকের এক বিখ্যাত ব্যবসাকেন্দ্র হল মসুল। এই মসুলেও অতি সূক্ষ্ম কাপড় প্রস্তুত হত। এই ‘মসুল' এবং ‘সূক্ষ কাপড়' -এ দুয়ের যোগসূত্র মিলিয়ে ইংরেজরা অতিসূক্ষ্ম কাপড়ের নাম দেয় ‘মসলিন'। অবশ্য বাংলার ইতিহাসে ‘মসলিন' বলতে বোঝানো হয় তৎকালীন ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে উৎপাদিত অতি সূক্ষ্ম এক প্রকার কাপড়কে।

প্রচলিত আছে, মসলিন শিল্পীদের আঙুল কেটে দেওয়ার পরে ঢাকাই মসলিন তৈরি বন্ধ হয়ে যায়। এখন ভারতেও মসলিন তৈরি হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকাই মসলিনের বিশেষত্বই আলাদা। ঢাকাই মসলিনের শেষ প্রদর্শনী হয়েছিল লন্ডনে ১৮৫০ সালে। এর ১৭০ বছর পরে বাংলাদেশে আবার বোনা হলো সেই ঐতিহ্যবাহী ঢাকাই মসলিন কাপড়ের শাড়ি। ঠিক সে রকমই, যেমনটি বলা হতো—আংটির ভেতর দিয়ে গলে যায় আস্ত একটি শাড়ি। যদিও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মসলিন শাড়ি পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু আপনাদের কথা মাথায় রেখে মেহজিন আকর্ষণীয় ডিজাইনের সেমি মসলিন শাড়ি তৈরির উদ্যোগ নেয়। কাস্টমারদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে মেহজিনই প্রথম নিজস্ব প্রোডাকশন হাউজের মাধ্যমে মসলিন শাড়ি তৈরি করা শুরু করে। হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী শাড়িকে বাচিয়ে রাখতে মেহজিনের প্রয়াশ কাস্টমারদের দ্বারা ভূয়সী প্রসংশার দাবিদার।

ঢাকাই মসলিন শাড়ি

ঢাকাই মসলিন তৈরির জন্য শাড়ির ঐতিহ্য রক্ষার্থে উঠেপড়ে লেগেছিলেন একদল গবেষক। তাঁদেরই ছয় বছরের চেষ্টা আর গবেষণা ফল দিয়েছে। তৈরি করা হয়েছে মসলিনের ছয়টি শাড়ি। যার একটি গবেষকেরা প্রধানমন্ত্রীকে উপহার হিসেবে দিয়েছেন। কিন্তু শুরুতে এক টুকরা ‘অরিজিনাল’ মসলিন কাপড় জোগাতে কলকাতা থেকে লন্ডন পর্যন্ত ছুটতে হয়েছে গবেষকদের। মসলিন বোনার সুতা যেই ‘ফুটি কার্পাস’ তুলার গাছ থেকে তৈরি হয়, সেই গাছ খুঁজে বের করা হয়েছে বিচিত্র সব পন্থা অবলম্বন করে। যান্ত্রিক সভ্যতার এ যুগে এসেও এই শাড়ি তৈরিতে তাঁতিদের হাতে কাটা ৫০০ কাউন্টের সুতাই ব্যবহার করতে হয়েছে।

মসলিন শাড়ি প্রকারভেদ

সাধারণত মসলিনের পার্থক্য করা হয় সূক্ষ্মতা, বুনন শৈলী ও নকশার পার্থক্যে। এসবের উপর ভিত্তি করে মসলিন শাড়িকে বিভিন্নভাগে ভাগ করা যায়ঃ

  • মলবুস খাসঃ আঠারো শতকের শেষদিকে মলবুস খাসের মতো আরেক ধরণের উঁচুমানের মসলিন তৈরি হতো, যার নাম ‘মলমল খাস’। এগুলো লম্বায় ১০ গজ, প্রস্থে ১ গজ, আর ওজন হত ৬-৭ তোলা। ছোট্ট একটা আংটির মধ্যে দিয়ে এ কাপড় নাড়াচাড়া করা যেত। এগুলো সাধারণত রপ্তানি করা হত।
  • সরকার ই আলাঃ বাংলার নবাব বা সুবাদারদের জন্য তৈরি হত এই মসলিন। সরকার-ই-আলা নামের জায়গা থেকে পাওয়া খাজনা দিয়ে এর দাম শোধ করা হত বলে এর এরকম নামকরণ। লম্বায় হত ১০ গজ, চওড়ায় ১ গজ আর ওজন হত প্রায় ১০ তোলা।
  • ঝুনাঃ ঝুনা মসলিনও সূক্ষ্ম সুতা দিয়ে তৈরি হ্ত, তবে সুতার পরিমাণ থাকত কম। তাই এ জাতীয় মসলিন হালকা জালের মতো হত দেখতে। একেক টুকরা ঝুনা মসলিন লম্বায় ২০ গজ, প্রস্থে ১ গজ হত। ওজন হত মাত্র ২০ তোলা। এই মসলিন বিদেশে রপ্তানি করা হত না, পাঠানো হতো মুঘল রাজ দরবারে।
  • শবনমঃ ভোরে শবনম মসলিন শিশিরভেজা ঘাসে শুকোতে দেয়া হলে শবনম দেখাই যেত না, এতটাই মিহি আর সূক্ষ্ম ছিল এই মসলিন। ২০ গজ লম্বা আর ১ গজ প্রস্থের শবনমের ওজন হত ২০ থেকে ২২ তোলা।
  • ডোরিয়াঃ ডোরা কাটা মসলিন ‘ডোরিয়া’ বলে পরিচিত ছিল। লম্বায় ১০-১২ গজ আর চওড়ায় ১ গজ হত। শিশুদের জামা তৈরি করে দেয়া হত ডোরিয়া দিয়ে।
  • জামদানিঃ মসলিনের উপর নকশা করে জামদানি কাপড় তৈরি করা হয়। জামদানি বলতে সাধারণত শাড়িকেই বোঝানো হয়। তবে জামদানি দিয়ে নকশি ওড়না, কুর্তা, পাগড়ি, রুমাল, পর্দা প্রভৃতি তৈরি করা হত। ১৭০০ শতাব্দীতে জামদানি দিয়ে নকশাওয়ালা শেরওয়ানির প্রচলন ছিল। এ ছাড়া, মুঘল নেপালের আঞ্চলিক পোশাক রাঙ্গার জন্যও জামদানি কাপড় ব্যবহৃত হত। প্রাচীনকালের মিহি মসলিন কাপড়ের উত্তরাধিকারী হিসেবে জামদানি শাড়ি বাঙালি নারীদের অতি পরিচিত।

বর্তমানে মসলিন

ঢাকা জাতীয় জাদুঘরে রক্ষিত মসলিন খানির দৈর্ঘ্যও ১০ গজ এবং চওড়া ১ গজ, এর ওজন মাত্র ৭ তোলা। তাহলে এটা সহজেই অনুমান করা যায় যে ঢাকার মসলিন মুঘল শিল্পের স্বর্ণযুগে আরো সুক্ষ্মভাবে তৈরি করা যেতো।

আপনার পছন্দের মসলিন শাড়ি অর্ডার করুন এখুনি।

তাহলে আর দেরি কেনো? এখুনি যোগাযোগ করুন

আপনার পছন্দের মসলিন শাড়ির স্টক শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অর্ডার করুন। অথবা, সরাসরি আমাদের শো রুমে ভিজিট করে, আকর্ষণীয় মূল্য ছাড়ে আপনার পছন্দের মসলিন শাড়ি সংগ্রহ করুন। 

পছন্দের মসলিন শাড়ি অনলাইনে অর্ডার করতে আপনার নাম, মোবাইল নাম্বার ও ঠিকানাসহ ইনবক্স করুন- m.me/mehzin.retail

অথবা, সরাসরি আমাদের আউটলেট থেকে পার্চেজ করুন।

আউটলেট লোকেশনঃ এফ এস স্কয়ার, লেভেল-৩, শপ নাম্বার
৪২৮-৪২৯, মিরপুর ১০ গোলচত্তর মেট্রোরেল স্টেশনের সাথে, মিরপুর ১০, ঢাকা।

পাঞ্জাবি (Panjabi) কি?

বাঙ্গালী তরুণ থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষ, সবারই আবেগের জায়গা পাঞ্জাবি। পাঞ্জাবি হচ্ছে একটি পোশাক, যা হাটু পর্যন্ত লম্বা। নাশীতোষ্ণ অঞ্চলের লোকজন পাঞ্জাবি পোশাকটি বেশি পরে। সুতি কাপড়ের পাঞ্জাবি অপেক্ষাকৃত গরম অঞ্চলের লোকেরা এই ঢিলেঢালা পোশাকটি পরতে ভালোবাসে। উৎসব হোক কিংবা ঘরোয়া অনুষ্ঠান, সকল ক্ষেত্রেই ছেলেদের প্রথম পছন্দ পাঞ্জাবি। পাঞ্জাবির মত আরামদায়ক পোশাক ছেলদের জন্য আর দুটি নেই। ছেলেদের পাঞ্জাবি একটি শব্দ যা পাঞ্জাব অঞ্চলের ছেলেদের বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এখন বিভিন্ন রকম পাঞ্জাবির ডিজাইনের সমাহার বার হয়েছে। বাঙ্গালী ছেলেদের ট্রেডিশনাল এবং আরামদায়ক শীর্ষ তালিকায় কাবলি পাঞ্জাবি এখন অন্যতম পোশাক নামে সুপরিচিত।

ঐতিহ্যবাহী পাঞ্জাবি

ঐতিহ্যবাহী পোশাকের সংস্কৃতি দ্বারা অনুপ্রাণিত পাঞ্জাবি এখন বাঙ্গালিদের মন এ জায়গা জুড়ে নিয়েছে। পাঞ্জাবির ঐতিহ্যবাহী নকশাগুলি প্রায় শতাব্দী ধরে চলে আসছে এবং তা আজও জনপ্রিয়। বিভিন্ন কাপড় এবং ক্লাসিক প্রিন্টেড ডিজাইন সমন্বিয়ে তৈরি হয়ে থাকে নকশাদার পাঞ্জাবি। প্রতিদিনের পরিধানের জন্য হোক বা বিয়ের এর জন্য প্রতিটি অনুষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত।আধুনিক পাঞ্জাবি ডিজাইনগুলি আরও গাঢ় রঙ এবং নতুন আকার-আকৃতির কারুকর্মে রুপান্তি হচ্ছে। আধুনিক পাঞ্জাবি ডিজাইনে ফুল, লাইন-ওয়ার্ক, পুঁতি, ট্যাসেল, মিরর-ওয়ার্ক এবং আরও অনেক কিছু কাজ করা থাকে।

সলিড কালার পাঞ্জাবি

ছেলেদের সিম্পেল এক কালার পাঞ্জাবি আজ অনেক বেশি চাহিদায় রয়েছে। এক কালার পাঞ্জাবির মধ্যে সেরকম কোনো ডিজাইন না থাকলেও এটি সাধারণত নেক ডিজাইন এবং হাতার মধ্যে সুতা বা এম্ব্রয়ডারির কাজ করা থাকে।

ইন্ডিয়ান পাঞ্জাবি

একদিকে গরমে তেমন অন্য দিকে আরাম আর সে সঙ্গে রঙিন সূচীকাজের নকশাদার ইন্ডিয়ান পাঞ্জাবি যেনো একটি অন্যরকম জায়গায় জুড়ে রয়েছে। বিয়ে, রিসেপ্সশন, বৈশাখী আর পহেলা ফাগুন বা ভ্যালেন্টাইন’স এর মত অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী পোশাকের তালিকায় রাখছেন এই ডিজাইনার পাঞ্জাবি।

তরুণদের পছন্দের শীর্ষে মেহজিন ব্রান্ডের পাঞ্জাবি

তাহলে আর দেরি কেনো? এখুনি যোগাযোগ করুন

আপনার পছন্দের পাঞ্জাবির স্টক শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অর্ডার করুন। অথবা, সরাসরি আমাদের শো রুমে ভিজিট করে, আকর্ষণীয় মূল্য ছাড়ে আপনার পছন্দের পাঞ্জাবি সংগ্রহ করুন। 

পছন্দের পাঞ্জাবি অনলাইনে অর্ডার করতে আপনার নাম, মোবাইল নাম্বার ও ঠিকানাসহ ইনবক্স করুন- m.me/mehzin.retail

অথবা, সরাসরি আমাদের আউটলেট থেকে পার্চেজ করুন।

আউটলেট লোকেশনঃ এফ এস স্কয়ার, লেভেল-৩, শপ নাম্বার
৪২৮-৪২৯, মিরপুর ১০ গোলচত্তর মেট্রোরেল স্টেশনের সাথে, মিরপুর ১০, ঢাকা।

হাফ সিল্ক শাড়ি কি / কাকে বলে?

শাড়ি বিভিন্ন উপাদান দিয়ে তৈরি করা যায়। বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে বর্তমানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে হাফ সিল্ক শাড়ি। কিন্তু হাফ সিল্ক শাড়ি কাকে বলে? যে সব শাড়ি কৃত্রিম সিল্ক সুতা ও সুতি সুতা মিক্সড করে বুনন করা হয় তাকে হাফ সিল্ক শাড়ি বলা হয়। সাধারণত প্রাকৃতিকভাবে রেশম গুটির থেকে যে আসল রেশম সুতা তৈরি হয়। আর সেই রেশম সুতা দিয়ে যে সকল শাড়ি বুনন করা হয় তাদের কে ফুল সিল্ক বা শুধু সিল্ক শাড়ি বলা হয়।

সুতরাং হাফ সিল্ক শব্দ থেকেই বুঝা যায় হাফ মানে অর্ধেক সিল্ক সুতা। আর এই হাফ সিল্ক বা অর্ধেক সিল্ক সুতার সাথে সাধারনত বুননের সময় সুতি সুতা দিয়ে বুনন করা হয়। আর টানায় হাফ সিল্ক সুতা থাকে। এর ফলে এই দুই ধরনের সুতা মিলে যে কাপর টা বুনন করা হয় তাকেই হাফ সিল্ক শাড়ি বলা হয়।

হাফ সিল্ক শাড়ি চেনার উপায়

হাফ সিল্ক শাড়িগুলো ভারি হয় না। ফলে সহজেই ক্যারি করা যায়। হাফ সিল্ক সুতা ও খাঁটি সিল্ক বা রেশম সুতা চেনার এক মাত্র উপায় রেশম সুতা বা সুতি সুতা পুড়লে থেমে থেমে আগুন জ্বলবে। পুড়া শেষ হলে সুতি ও রেশম সুতার কপরে একটু অংশ হলেও ছাই পাওয়া যাবে। কিন্তু হাফ সিল্ক সুতাতে আগুন ধরালে একবারে ধপ করে সম্পূর্ণ কাপরে আগুন লেগে সুতা গলে পানির মতো শেষ হয়ে যাবে। পোড়া শেষে কোন রকম ছাই হবে না বা পাওয়াও যাবে না।

এছাড়াও,  আপনি যখন হাফ সিল্ক শাড়ি কিনবেন তখন আপনি শাড়ির একটি অংশ আপনার হাতের মধ্যে নিয়ে দুই হাত দিয়ে একটু মুচড়িয়ে দেখবেন। মোচড়ানোর পরে যদি শাড়িটি ভাগ হয়ে যায়, তাহলে শাড়িটি নকল।

হাফ সিল্ক শাড়ির বৈশিষ্ট্য

আমরা অনেকেই হাফ সিল্ক শাড়ি পরতে পছন্দ করি তবে আমরা এটা কি জানি যে হাফ সিল্ক কাপড়ের
বৈশিষ্ট্য কি কি? অনেকেই জানিনা কাপড় কেনার পর যে এটা আসল না নকল। তো এখন আমরা হাফ সিল্ক শাড়ির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানবো।

  •  হাফ সিল্ক শাড়ি সাধারণত রেশম সুতা দিয়ে তৈরি করা হয় তাই এই কাপড়টি যখন পোড়ানো হয় বা একটু আগুন লাগে তাহলে রেশমের গন্ধ বের হয়।
  • খালী চোখে দেখলে বোঝা যাবে বাস্তবে রেশম একটি সুন্দর দীপ্তি রয়েছে। অন্যদিকে,  রাসায়নিক ফাইবারে দিয়ে তৈরি ফেব্রিক একটু কম উজ্জ্বল  হয়।
  • হাফ সিল্ক শাড়িগুলো ভারি হয় না। ফলে সহজেই ক্যারি করা যায়।

মেহজিন ব্রান্ডের হাফ সিল্ক শাড়ি

তাহলে আর দেরি কেনো? এখুনি যোগাযোগ করুন

আপনার পছন্দের শাড়ির স্টক শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অর্ডার করুন। অথবা, সরাসরি আমাদের শো রুমে ভিজিট করে, আকর্ষণীয় মূল্য ছাড়ে আপনার পছন্দের শাড়ি সংগ্রহ করুন। 

পছন্দের শাড়ি অনলাইনে অর্ডার করতে আপনার নাম, মোবাইল নাম্বার ও ঠিকানাসহ ইনবক্স করুন- m.me/mehzin.retail

অথবা, সরাসরি আমাদের আউটলেট থেকে পার্চেজ করুন।

আউটলেট লোকেশনঃ এফ এস স্কয়ার, লেভেল-৩, শপ নাম্বার
৪২৮-৪২৯, মিরপুর ১০ গোলচত্তর মেট্রোরেল স্টেশনের সাথে, মিরপুর ১০, ঢাকা।

থ্রি পিস কি?

মেয়েদের অন্যতম ভালোবাসার জায়গা থ্রি পিস। থ্রি পিসের মধ্যে থাকে একটি কামিজ (জামা), একটি সালোয়ার এবং একটি ওড়না। এই তিনের সমন্বয়ে থ্রি পিস। বাঙালি মেয়েদের পরিধানে শাড়ির পর সব থেকে বেশি যে পোশাকটি দেখতে পাওয় যায় তার নাম হল থ্রি পিস বা সালোয়ার কামিজ।

থ্রি পিস - প্রচলনের ইতিহাস

প্রাচীনকালে সালোয়ার কামিজের দেখা মেলেনি, এমনকি চর্যাপদে এই পোশাকের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তাহলে বাঙালিয়ানায় এ পোশাক যুক্ত হলো কিভাবে?

শুরুর দিকে মঙ্গোল যুগে, সালোয়ার কামিজ কে মুসলিম পোশাক হিসেবে বিবেচনা করা হতো। দ্বাদশ শতাব্দীতে তিমুরিদ আক্রমণ করে আমাদের এই উপমহাদেশে। তিমুরিদ রাজবংশ, তুর্কি-মঙ্গোল বংশোদ্ভূত রাজবংশ বিজেতা তৈমুর (টেমেরলেন) থেকে এসেছে। যারা সাথে করে যাযাবর পোশাক হিসেবে নিয়ে আসে এরকম হাবভাবের পোশাক। 

সেই সময়ে নারীদের পোশাক ছিলো কোমরের উপর একটু আটসাট করে ফিটিং করা যা এখন আমাদের লং গাউন, আনারকলী এসবের সাথে মিলে যায় এবং তখন তারা এই পোশাকের সাথে ওড়না ও ব্যবহার করতো।

প্রথম দিকে রাজ কাজে বাদশাহের পরিবারে এসব পোশাক পরিধান করা হলেও পরবর্তীতে অভিজাত পরিবারে এবং তার ও পরে গ্রামের ধনীদের এসব পোশাক পরতে দেখা যায়। এরপর বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ এসব পরিধান করা শুরু করে। যা পরে মুঘল সাম্রাজ্যে আরো পরিবর্তন করা হয়। তৈমুরদের বংশধরেরা প্রতিষ্ঠা করেছিলো মুঘল সাম্রাজ্য। 

সঠিক সময় কাল জানা না গেলেও ধারনা করা হয় যে মুঘল আমল থেকেই থ্রি পিসের প্রচলন শুরু হয়। তবে তখনো এর জনপ্রিয়তা তেমন চোখে পরার মত ছিল না। আরো কয়েক শতাব্দী পর, ৮০/৯০ দশকের বলিউড সিনেমার বদৌলতে সালোয়ার কামিজের নাম ছড়িয়ে পরে জনসাধারণের মুখে মুখে। এজন্য মুঘল সাম্রাজ্য কে বলা হয় টেক্সটাইল কারুশিল্পের স্বর্ণযুগ।

বিভিন্ন প্রকারের থ্রি পিস

মেয়েদের অন্যতম ভালোবাসার জায়গা থ্রি পিস। থ্রি পিসের মধ্যে থাকে একটি কামিজ (জামা), একটি সালোয়ার এবং একটি ওড়না। এই তিনের সমন্বয়ে থ্রি পিস। বাঙালি মেয়েদের পরিধানে শাড়ির পর সব থেকে বেশি যে পোশাকটি দেখতে পাওয় যায় তার নাম হল থ্রি পিস বা সালোয়ার কামিজ।

ল'ন থ্রি পিসঃ ল’ন থ্রিপিসের নাম শুনেন নি এমন মানুষ খুজে পাওয়া দুস্কর। ল’ন/ LAWN নামটি এসেছে ফ্রান্স এর LAON শহরের নাম থেকে।এই শহর থেকেই ল’ন এর উৎপত্তি হলেও ভারত ও পাকিস্তানে এর ব্যাপক উৎপাদন ও এর মাধ্যমে এর জনপ্রিয়তা লাভ করে। প্রথমে শুধু ভিসকস/দামী লিনেন সুতা দিয়ে তৈরি হলেও।পরবর্তীতে ১০০% কটন সুতা দিয়ে তৈরী করা হতো বলে আরামদায়ক , দামেও সস্তা ও বহুল জনপ্রিয় হয়ে উঠে ল’ন থ্রি পিস,চলে আসে সব শ্রেণির ক্রেতাদের হাতের নাগালে। 

শুরুর দিকে ১০০% কটন এর সুতা দিয়ে তৈরী হতো বলে এই কাপড় হতো অনেক স্বচ্ছ ও পাতলা,ফলে কোন অর্নামেন্টাল হাত/মেশিনের কাজ করা যেতো না,তাই পাকিস্তান ও ইন্ডিয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশেও ৫০% কটন ও ৫০% ভিসকস সুতা দিয়ে ল’ন তৈরী করা হয়।তাতে কাপড়ের গঠন অনেকটাই মজবুত হয়ে দৈনন্দিন ব্যবহারের ও উপযোগী হয়ে উঠে। ল’ন কাপড় ভয়েল ও অরগ্যান্ডির মাঝামাঝি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ।অর্থাৎ ভয়েলের চাইতে কম স্বচ্ছ ও অরগ্যান্ডির চাইতে বেশি নরম। ল’ন কাপড়ে সাধারনত কটন সুতার কাউন্ট থাকে ৭০ আর ভিসকস/পলিস্টার সুতার কাউন্ট থাকে ১০০।

কটন জামদানি থ্রি-পিসঃ জামদানি থ্রি-পিসগুলো কখনোই পিউর কটনের উপর তৈরি হয় না ৷ অনেকের ই ধারনা এই থ্রি-পিসগুলো পিউর কটনের উপর তৈরি করা হয় ৷ এই ধারণাটি একেবারেই সঠিক নয়৷ এই থ্রি-পিসগুলোর বৈশিষ্ট্য হলো, এগুলো মূলতঃ মিক্সড কটন সূতায় তৈরি করা হয় ৷ অর্থাৎ পিসি (পলিষ্টার কটন) সূতায় তৈরি হয় কিংবা তসর কাপড়ের উপর তৈরি করা হয় ৷ তবে সবচেয়ে বেশি তৈরি হয় পিসি সূতায় ৷ তাই এই থ্রি-পিসগুলো পরতে অনেক আরামদায়ক হয় এবং বাজেট ফ্রেন্ডলি হয় ৷ তাইতো এই থ্রি-পিসগুলোর প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ থাকে অনেক অনেক গুন বেশি ! দিন দিন এর চাহিদা আরো দ্বিগুণ বেড়ে চলেছে ৷

সুতি থ্রি পিসঃ আরামদায়ক পোশাক পরতে হলে সুতি কাপড়ের বিকল্প নেই। কারণ সুতি হলো প্রাকৃতিক ফেব্রিক। তুলা থেকে তৈরি হয় সুতা। এরপর ওই সুতা থেকে তৈরি হয় সুতির পোশাক। আসল সুতি কাপড়ের বুনন হবে পাতলা। গরমের সিজনে সুতি থ্রি পিস পরার মত আরমাদায়ক আর কিছু হতেই পারে না। আরামদায়ক বলে অনেকেই এক কালার কামিজ ডিজাইন ওয়ান পিস কালেকশন পরিধান করতে বেশি পছন্দ করছেন।

আনস্টিচড, সেমি-স্টিচড অথবা রেডিমেডঃ সব ধরনের থ্রি পিসের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। আকর্ষণীয় রঙে রুপে এসব সালোয়ার কামিজ এখন টেক্কা দিচ্ছে দামি স্যুট কিংবা ওয়েস্টার্ণ ড্রেসকে। জর্জেট থ্রি পিস, কাতান থ্রি পিস, তাঁতের থ্রি পিস, পাকিজা থ্রি পিস ইত্যাদি সালোয়ার কামিজ কালেকশন গুলো মেয়েরা এখন পরিধান করছে সারা বছর জুড়েই। ফ্যাশন সচেতন মেয়েরা আনস্টিচড থ্রি পিসে ফুটিয়ে তুলছে তাদের নিজস্ব সৃজনশীলতা, সেক্ষেত্রে ডিজাইনে ভিন্নতা আনার জন্য থ্রি পিসের হাতার ডিজাইন এবং গলার ডিজাইনে জোড় দেয়া হচ্ছে বেশি। অন্যদিকে রেডিমেড কাজ করা থ্রি পিসেও থাকছে চোখ ধাঁধানো রঙ আর নকশার ছটা।

সিল্কের থ্রি পিসঃ ‘সিল্ক’ ইংরেজি শব্দ, বাংলায় রেশম। রাজশাহী পরিচিত হয় ‘রেশম নগরী’ হিসেবেই। যুগ-যুগান্তর থেকে আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষের রুচি ও ফ্যাশন নিত্যনতুন বদলাচ্ছে। কিন্তু এত ফ্যাশনের ভিড়ে আজও অমলিন রেশমের ঐতিহ্য। হাজার পণ্যের মধ্যেও বাঙালি সংস্কৃতিতে রেশমের আভিজাত্য এক রত্তিও কমেনি। বছরের অন্য সময় তো বটেই; ঈদ-পরবে তো কথাই নেই। রেশমি পোশাক যেন চাই-ই চাই। আর যখনই কোথাও রেশমের কথা উঠবে। তখনই মনে পড়বে উত্তরের শহর রাজশাহীর নাম।

বিবিধঃ বিয়ে কিংবা পারিবারিক অনুষ্ঠানে গাউন এর পরিবর্তে গাউন থ্রি পিস কিংবা ভারী পাঞ্জাবী, গুজরাটি স্টাইল সারারা সালোয়ার পরাটাই এখন মেয়েদের ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। রঙিন সুতার এমব্রয়ডারি থ্রি পিস অথবা সালোয়ার কামিজে প্রিন্ট ডিজাইন এখন বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। এছাড়াও ফ্যাশন প্রিয় তরুনীদের এখন পছন্দের শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানি লোন থ্রি পিস, ফেরদৌস লোন থ্রি পিস দেশি ডিজাইনের মধ্যে রয়েছে শাপলা থ্রি পিস কালেকশন। রঙ বেরঙ্গের কাজ করা থ্রি পিস কিনতে রমনীরা বাছাই করছে ব্লক বাটিক ডিজাইনের থ্রি পিস।

গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখেই আকর্ষণীয় কালেকশন লঞ্চ করেছে মেহজিন ব্রান্ড। তাহলে আর দেরি কেন? এখুনি সংগ্রহ করুন আপনার পছন্দের কালেকশন।

তাহলে আর দেরি কেনো? এখুনি যোগাযোগ করুন

আপনার পছন্দের থ্রি পিসের স্টক শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অর্ডার করুন। অথবা, সরাসরি আমাদের শো রুমে ভিজিট করে, আকর্ষণীয় মূল্য ছাড়ে আপনার পছন্দের থ্রি পিস সংগ্রহ করুন। 

পছন্দের থ্রি পিস অনলাইনে অর্ডার করতে আপনার নাম, মোবাইল নাম্বার ও ঠিকানাসহ ইনবক্স করুন- m.me/mehzin.retail

অথবা, সরাসরি আমাদের আউটলেট থেকে পার্চেজ করুন।

আউটলেট লোকেশনঃ এফ এস স্কয়ার, লেভেল-৩, শপ নাম্বার
৪২৮-৪২৯, মিরপুর ১০ গোলচত্তর মেট্রোরেল স্টেশনের সাথে, মিরপুর ১০, ঢাকা।