fbpx

Mini Cart

পহেলা বৈশাখ, বাঙালির জীবনের এক অনন্য উৎসব। এটি শুধু বাংলা বছরের প্রথম দিন নয়, বরং আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং নতুন আশার প্রতীক। এই দিনে বাঙালি জাতি একত্রিত হয়ে উদযাপন করে তাদের ঐতিহ্যকে। Mehzin ব্র্যান্ড, যা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের সৌন্দর্যকে আধুনিকতার সাথে মিশিয়ে উপস্থাপন করে, পহেলা বৈশাখে আপনার সাজকে আরও বিশেষ করে তুলতে প্রস্তুত।

পহেলা বৈশাখের ইতিহাস ও গুরুত্ব

পহেলা বৈশাখ বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রথম দিন। এটি মূলত কৃষি মৌসুমের সূচনা এবং নতুন বছরের শুভ সূচনা হিসেবে পালিত হয়। মুঘল আমলে সম্রাট আকবরের সময় থেকে এই দিনটি কর আদায়ের জন্য “হালখাতা” উৎসব হিসেবে পালন করা শুরু হয়। বর্তমানে এটি একটি জাতীয় উৎসব এবং বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান অংশ।

পহেলা বৈশাখে Mehzin-এর শাড়ির বিশেষত্ব

Mehzin ব্র্যান্ড সবসময়ই বাঙালি নারীর ঐতিহ্যবাহী পোশাককে আধুনিকতার ছোঁয়া দিয়ে উপস্থাপন করে। পহেলা বৈশাখে Mehzin-এর শাড়িগুলো আপনার সাজকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। আমাদের কালেকশনগুলোতে রয়েছে:

  • জামদানি শাড়ি: বাংলার গর্ব, যা আপনাকে দিবে ঐতিহ্যের সঙ্গে আভিজাত্যের অনুভূতি।

  • মসলিন শাড়ি: প্রাচীন বাংলার সূক্ষ্ম শিল্পকর্মের প্রতীক।

  • কাতান শাড়ি: উজ্জ্বল রঙ এবং নকশায় ভরপুর।

  • জর্জেট শাড়ি: গরম আবহাওয়ার জন্য আরামদায়ক এবং স্টাইলিশ।

পহেলা বৈশাখ উদযাপনের রীতি

এই দিনে বাঙালিরা নতুন পোশাক পরে, ঘর সাজায় এবং বিশেষ খাবার তৈরি করে। Mehzin-এর শাড়ি পরে আপনি এই দিনটিকে আরও স্মরণীয় করে তুলতে পারেন। আমাদের শাড়িগুলোর লাল-সাদা রঙ পহেলা বৈশাখের ঐতিহ্যকে তুলে ধরে।

উৎসবের মূল আকর্ষণ

  1. মঙ্গল শোভাযাত্রা: এটি UNESCO-এর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ।

  2. হালখাতা: ব্যবসায়ীরা পুরনো হিসাব বন্ধ করে নতুন হিসাব শুরু করেন।

  3. সংস্কৃতির চর্চা: গান, নৃত্য এবং নাটকের মাধ্যমে বাঙালির ঐতিহ্য উদযাপন।

Mehzin-এর সাথে পহেলা বৈশাখ উদযাপন

Mehzin ব্র্যান্ড আপনাকে দিচ্ছে এমন শাড়ি যা আপনার সৌন্দর্যকে দ্বিগুণ করবে। আমাদের প্রতিটি শাড়ি তৈরি হয়েছে দক্ষ কারিগরের হাতে, যা মান ও ডিজাইনে অনন্য। পহেলা বৈশাখে Mehzin-এর শাড়ি পরে আপনি নিজেকে সাজাতে পারেন ঐতিহ্যের রঙে এবং আধুনিকতার ছোঁয়ায়।

বিশেষ অফার

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে Mehzin নিয়ে এসেছে বিশেষ ছাড়! এখনই অর্ডার করুন এবং আপনার নতুন বছরের সাজকে আরও রঙিন করে তুলুন।

শেষ কথা

পহেলা বৈশাখ আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। Mehzin ব্র্যান্ডের সাথে এই দিনটি উদযাপন করুন এবং আপনার সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তুলুন। শুভ নববর্ষ!

ঈদ আসছে, আর তখনকার সময়টা সব বাবা-মায়ের জন্য খুবই বিশেষ। ঈদের জামা নিয়ে দুশ্চিন্তা তো থাকেই! কিন্তু এবার, ঈদের জন্য বেবি ড্রেস কেনার সময় আপনি নিশ্চিতভাবেই একদম নতুন কিছু ভাবছেন, তাই তো? ঠিক আছে, আজকের ব্লগ পোস্টে আমি আপনাদের এমন কিছু বেবি ড্রেসের ডিজাইন নিয়ে আলোচনা করব, যেগুলো ঈদের আনন্দকে আরও বড় করবে।

কেন বেবি ড্রেস নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ?

ঈদের দিনটা শুধু খাবারের মজা বা পরিবারের মিলনের দিন না, এটা একটা বিশেষ দিনও বটে। আর যখন আপনার ছোট্ট সুপারস্টার ঈদে দারুণ দেখাবে, তখন সেটা সত্যিই আলাদা এক অনুভূতি! তাই ঈদের বেবি ড্রেসের পছন্দ যেন না হয়, সেদিকে মনোযোগ দিন। সঠিক পোশাক আপনার শিশুর আরামের পাশাপাশি তার সৌন্দর্যকেও বাড়িয়ে তোলে। আর, একদম মনের মতো ড্রেস কিনে শিশুদের ফটোশুটও তো খুব সুন্দর হয়ে ওঠে, তাই না?

২০২৫ ঈদ: ট্রেন্ডি বেবি ড্রেসের ট্রেন্ড

১. বেবি গার্লসের জন্য ফ্লারী ড্রেস

২০২৫ সালের ঈদে বেবি গার্লদের জন্য ফ্লারী বা ফুলের প্যাটার্নের ড্রেস সত্যিই একেবারে ট্রেন্ডি। এই ধরনের ড্রেসে ফ্রিলস, রাফলস এবং ফ্লোরাল ডিজাইন ব্যবহার করা হচ্ছে। মনে করবেন না, এসব শুধুমাত্র বড়দের জন্য! শিশুদের জন্যও এই ডিজাইন অসাধারণ হয়ে ওঠে।

২. সোনালী বা রুপালী থিম

ঈদ মানেই তো বিশেষ দিন, এবং বিশেষ দিনেই তো বিশেষ পোশাক লাগবে! সোনালী বা রুপালী থিমের বেবি ড্রেস গুলো খুবই জনপ্রিয় এখন। সিল্ক বা সাটিনের ফ্যাব্রিক দিয়ে তৈরি এই ধরনের পোশাক আপনার শিশুকে ঈদের দিন একেবারে রাজকুমারী বানিয়ে দেবে।

৩. মিনি শেরওয়ানি বা কুর্তা

এখনকার অনেক বাবা-মা তাদের ছোট্ট ছেলে শিশুর জন্য কুর্তা বা শেরওয়ানি কিনতে পছন্দ করেন। ছোট্ট সুপারস্টাররা যখন মিনি শেরওয়ানি বা কুর্তা পরে ঈদের দিন মঞ্চে ওঠে, তখন তাদের দেখলে যেন ঈদের রূপে চার গুণ বৃদ্ধি হয়!

৪. আরামদায়ক সেমি-ফরমাল পোশাক

কিছু বাবা-মা সরলতা পছন্দ করেন। তাই তারা সেমি-ফরমাল পোশাককেই বেছে নেন। এই ধরনের পোশাক সহজেই পরিধান করা যায় এবং বেশ আরামদায়কও। ছোট্ট ছেলে বা মেয়ে পছন্দ করবে, কারণ পোশাকগুলো হাঁটাচলার জন্য খুবই আরামদায়ক।

৫. ক্লাসিক প্রিন্ট ও প্যাটার্ন

ক্লাসিক স্টাইল এখনও হারায়নি। বেবি গার্লসের জন্য রেট্রো প্যাটার্ন বা পোলকাডট ড্রেস অনেকেই বেছে নিচ্ছেন। একইভাবে, ছোটদের জন্য ডটস, স্ট্রাইপস ও ব্লক প্রিন্টও ঈদে জনপ্রিয় হতে চলেছে।

সঠিক বেবি ড্রেস কীভাবে বেছে নেবেন?

বেবি ড্রেস কেনার সময় আরামদায়ক হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ছোট্ট প্রিয়জন যাতে দিব্যি দৌড়াতে পারে এবং খেলা করতে পারে, সেজন্য পোশাকটি যেন খুবই কমফোর্টেবল হয়। পোশাকের ফ্যাব্রিক হালকা ও শ্বাসপ্রশ্বাসযোগ্য হতে হবে, যেমন কটন বা লিনেন।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সাইজ! অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে কিনবেন যাতে পোশাকটি খুব টাইট বা খুব লুজ না হয়। মাঝারি সাইজের পোশাকই সবচেয়ে ভাল। সেইসাথে আপনার শিশুর পছন্দের রঙ এবং ডিজাইন অবশ্যই মনে রাখতে হবে।

কেন পছন্দ করবেন এই বেবি ড্রেস গুলো?

  • ট্রেন্ডি ডিজাইন: প্রতিটি পোশাকের ডিজাইন এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা ঈদের আনন্দ বাড়িয়ে দেবে।
  • আরামদায়ক উপকরণ: শিশুদের জন্য নরম এবং আরামদায়ক ফ্যাব্রিক ব্যবহার করা হয়।
  • এফোর্ডেবল প্রাইস: অধিকাংশ বেবি ড্রেসগুলো সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাবে, তাই আরেকটি সুবিধা!

সেরা শপিং প্ল্যাটফর্ম

এখন, আপনি যদি ঈদের জন্য বেবি ড্রেস কিনতে চান, তবে কিছু নির্দিষ্ট অনলাইন শপের দিকে নজর দিন। তারা বিভিন্ন ধরনের স্টাইল এবং ডিজাইন অফার করে, যা আপনার শিশুর জন্য সেরা হবে।

শেষ কথা

ঈদের দিন যেন আপনার শিশুর জন্য এক অমুল্য স্মৃতি হয়ে থাকে, তার জন্য আপনি অবশ্যই সঠিক ড্রেস বেছে নেবেন। আর মনে রাখবেন, পোশাকের মধ্যে শুধুমাত্র স্টাইল নয়, শিশুদের আরামও গুরুত্বপূর্ণ! তাই ঈদের জন্য আপনার বেবি ড্রেসের পছন্দে কোনো আপোস করবেন না।

ঈদের দিন, আপনার ছোট্ট প্রিয়জন যেন হয়ে ওঠে পরিবারের আলো, সেইভাবে তার পোশাকের সঙ্গী হন।

ঈদে মায়ের সাথে মেয়ের মাচিং ড্রেস: এক সাথে সেজে ঈদকে স্মরণীয় করে তুলুন

ঈদ হলো একটি বিশেষ দিন, যা আমরা প্রতি বছর উদযাপন করি পরিবারের সঙ্গে। এই দিনটি শুধু নতুন পোশাক পরার জন্য নয়, বরং একে অপরের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করার দিন। ঈদ উপলক্ষে আমরা সবাই চাই, আমাদের পোশাক যেন থাকে একেবারে স্টাইলিশ, ট্রেন্ডি এবং আরামদায়ক। আর মায়ের সঙ্গে ছোট্ট মেয়ের মাচিং ড্রেস পরলে ঈদ উদযাপন হয়ে ওঠে আরও আনন্দময় এবং বিশেষ।

আমরা জানি, ঈদ মানে শুধু পোশাক নয়, এটি আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক ও ভালোবাসার মুহূর্তগুলোকেও আরও সুন্দর করে তোলে। এখন, যদি আপনি মা এবং মেয়ে দু’জনের জন্য একসাথে মাচিং ড্রেস বেছে নিতে চান, তবে মেহজিনের কালেকশন হতে পারে আপনার জন্য সেরা পছন্দ। আসুন, এক নজরে দেখে নেয়া যাক কেন মাচিং ড্রেস হলো ঈদের জন্য পারফেক্ট চয়েস এবং কীভাবে মেহজিন আপনাকে দিচ্ছে সেরা ডিজাইনগুলো।

মাচিং ড্রেস: ঈদের নতুন ট্রেন্ড

মাচিং ড্রেসের ট্রেন্ড বর্তমানে দারুণভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ঈদে যখন পুরো পরিবার একসাথে উপভোগ করতে আসে, তখন মা ও মেয়ে একসাথে একই ডিজাইনে পোশাক পরা অনেক বেশি শোবার বিষয় হয়ে ওঠে। মাচিং ড্রেস পরলে যেমন একে অপরের প্রতি ভালোবাসা এবং সম্পর্কের গভীরতা প্রকাশ পায়, তেমনি এটি ভীষণ স্টাইলিশ এবং ট্রেন্ডি।

এখনকার যুগে মা এবং মেয়ে যখন একসাথে একই ডিজাইনের পোশাক পরেন, তখন এটি তাঁদের মধ্যে বিশেষ সম্পর্ককে আরও জোরদার করে তোলে। একে অপরকে সঙ্গ দিয়ে ঈদ উদযাপন করতে খুবই মজা। একই পোশাকে সেজে একসাথে পরিবারের ছবি তোলার মাধ্যমে স্মরণীয় করে তোলা যায় এই মুহূর্তগুলো।

মেহজিনের ঈদের জন্য বিশেষ কালেকশন

মেহজিন এবারের ঈদে মা ও মেয়ের জন্য আনার মধ্যে অত্যন্ত স্টাইলিশ এবং আরামদায়ক পোশাক। চলুন, একে একে দেখে নেয়া যাক মেহজিনের এই নতুন কালেকশনে কী কী বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

কাঠ ব্লক এবং এম্ব্রয়ডারি কাজ

মেহজিনের কালেকশনে রয়েছে বিশেষ কাঠ ব্লক এবং এম্ব্রয়ডারি কাজ। কাঠ ব্লক প্রিন্টিং পোশাকের ডিজাইনে একটি ঐতিহ্যবাহী এবং শীতল ভিউ তৈরি করে, যা ঈদে বেশ জনপ্রিয়। এম্ব্রয়ডারি কাজ পোশাকের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে এবং ঈদের দিন এটি আপনাকে এক্সক্লুসিভ এবং স্টাইলিশ দেখাবে। কাঠ ব্লক প্রিন্টের জামা এবং এম্ব্রয়ডারি কাজের প্যান্ট বা সালোয়ার একটি অভিজ্ঞান সৃষ্টি করে, যা পুরো ঈদে নজর কেড়ে নেয়।

জামা-সুতি সেলফ প্রিণ্টেড

মেহজিনের জামাগুলি সেলফ প্রিন্টেড সুতি কাপড়ে তৈরি, যা ঈদে পরতে অত্যন্ত আরামদায়ক। এই পোশাকের মূল আকর্ষণ হলো এর ডিজাইন এবং উপকরণ। আপনি যদি আরামদায়ক পোশাক পরতে চান, তবে এই জামাগুলি হতে পারে আপনার জন্য উপযুক্ত। এর নকশা অত্যন্ত আধুনিক এবং গতানুগতিক ঈদের পোশাকের বাইরে একটি নতুন ট্রেন্ড তৈরি করবে।

প্যান্ট এবং ওড়না – সুতি ফ্যাব্রিক

মেহজিনের প্যান্ট এবং ওড়না সুতি ফ্যাব্রিকে তৈরি, যা আরাম এবং শীতলতা প্রদান করে। আপনি যখন পুরোদিন ঈদ উদযাপন করবেন, তখন আপনি নিশ্চয় চাইবেন আপনার পোশাক যেন খুব আরামদায়ক হয়। এই সুতি প্যান্ট এবং ওড়না আপনাকে সারা দিন আরামে রাখতে সাহায্য করবে, সাথে সাথেই এটি ঈদের দিনের স্টাইলিশ লুক উপহার দেবে।

ঈদের পোশাকের এক্সেসরিজের গুরুত্ব

ঈদের পোশাক শুধু পোশাকের মাধ্যমে নয়, বরং এক্সেসরিজের মাধ্যমেও সম্পূর্ণ হয়ে ওঠে। ঈদের দিন যদি আপনি মাচিং ড্রেস পরেন, তবে এর সাথে সুন্দর কিছু এক্সেসরিজ যোগ করলে পুরো সাজ আরও ফুটে উঠবে। যেমন, সুন্দর কানের দুল, চুড়ি, কড়া, বা একটি কেতাদুরস্ত স্কার্ফ আপনার সাজে যোগ করতে পারে নতুন রঙ। এই সব এক্সেসরিজের সঙ্গে মেহজিনের জামা এবং প্যান্টগুলো হবে একেবারে নিখুঁত।

মাচিং ড্রেসের ফটোগ্রাফি এবং স্মৃতি তৈরি

ঈদ মানে শুধু পোশাক পরা নয়, এটি বিশেষ মুহূর্তগুলোকে স্মরণীয় করে তোলার দিন। মায়ের সাথে ছোট্ট মেয়ের মাচিং ড্রেস পরা অবস্থায় একটি ফটোগ্রাফি আপনার জন্য একটি চিরস্থায়ী স্মৃতি হয়ে থাকবে। এটি সারা জীবন মনে থাকবে, যখন আপনি এবং আপনার মেয়ে একসাথে ঈদের আনন্দে মেতে উঠবেন। একে অপরকে আঁকড়ে ধরে ছবি তুলুন এবং সেই মুহূর্তকে চিরকাল ধরে রাখুন।


ঈদে পরিবার এবং পোশাকের একসাথে আনন্দ

ঈদ আসলে একটি পারিবারিক উৎসব, যেখানে পরিবারের সদস্যরা একসাথে আনন্দ ভাগ করে নেন। মাচিং ড্রেসের মাধ্যমে মা এবং মেয়ে একসাথে ঈদ উদযাপন করতে পারেন। এটি শুধু একটি স্টাইল স্টেটমেন্ট নয়, বরং একটি গূঢ় অনুভূতি প্রকাশ। এটা জানিয়ে দেয় যে, আপনি এবং আপনার সন্তান একে অপরকে ভালোবাসেন এবং এই ভালোবাসাকে পরিবারিক ফটোগ্রাফিতে ফুটিয়ে তুলছেন।

শেষ কথা

এই ঈদে মেহজিনের বিশেষ কালেকশনের মাধ্যমে আপনার পরিবারকে সাজিয়ে তুলুন। মায়ের সাথে ছোট্ট মেয়ের মাচিং ড্রেস পরলে ঈদের আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে উঠবে। কাঠ ব্লক এবং এম্ব্রয়ডারি কাজের জামা, সুতির কাপড়ে তৈরি প্যান্ট ও ওড়না, আর এক্সেসরিজের সাথে সেজে ঈদের দিনটিকে বিশেষ করে তুলুন।

মেহজিনের কালেকশনের প্রতিটি পোশাক আপনার ঈদ উদযাপনকে আরো প্রাণবন্ত এবং স্মরণীয় করে তুলবে। তাই, একসাথে পরিবারসহ সাজুন, আনন্দ করুন এবং ঈদের পরিপূর্ণ মজা উপভোগ করুন!

ঈদে পরিবারের সেরা পোশাকের জন্য মেহজিনকে বেছে নিন!

ভ্যালেন্টাইনস ডে ও পহেলা ফাল্গুন: প্রেম ও বসন্তের আনন্দ – Mehzin Brand এর স্পেশাল কালেকশন যা আপনার ভালোবাসা ও বসন্তের উৎসবকে আকর্ষণীয় করবে।

 ভ্যালেন্টাইনস ডে এবং পহেলা ফাল্গুন: ভালোবাসা ও বসন্তের রঙিন উৎসব

ফেব্রুয়ারি মানেই ভালোবাসা আর রঙের মেলবন্ধন! ভ্যালেন্টাইনস ডে (১৪ ফেব্রুয়ারি) আর পহেলা ফাল্গুন (১৪ ফেব্রুয়ারি) একই দিনে পড়লে উৎসবের আনন্দ যেন আরও দ্বিগুণ হয়ে যায়। এই দিনটি আমাদের জীবনে ভালোবাসা আর নতুন জীবনের বার্তা নিয়ে আসে।

ভ্যালেন্টাইনস ডে’র আনন্দ


ভ্যালেন্টাইনস ডে হলো প্রিয়জনদের প্রতি ভালোবাসা ও যত্ন প্রকাশের দিন। গোলাপ, চকোলেট, ছোট ছোট উপহার, কিংবা একটি স্পেশাল ডিনার—সবই সম্পর্কের উষ্ণতা বাড়ানোর উপায়।

পহেলা ফাল্গুনের উজ্জ্বলতা


বাংলার বসন্ত শুরু হয় পহেলা ফাল্গুনে। চারপাশ ভরে যায় সরিষা ফুলের হলুদ এবং পলাশের লালে। হলুদ-কমলা শাড়ি, খোপায় ফুল, আর গান-বাজনায় মেতে ওঠে সবাই।

দুই উৎসবের মিশ্রণ


ভ্যালেন্টাইনস ডে আর পহেলা ফাল্গুন একসাথে মানে রঙ আর ভালোবাসার চমৎকার মিশেল। একদিকে প্রেমের উষ্ণতা, অন্যদিকে বসন্তের রঙিনতা—এই দিনটিকে করে তোলে আরও বিশেষ।

ভ্যালেন্টাইন এবং ফাল্গুন: প্রেম এবং উৎসবের মেজাজে পোশাক

 

ভ্যালেন্টাইন ডে এবং ফাল্গুন মানেই ভালোবাসা এবং রঙের উৎসব। এই দুটি বিশেষ দিনকে উদযাপন করার জন্য মেহজীন ব্র্যান্ডের পোশাকগুলো একদম সঠিক পছন্দ। আপনি যদি ভ্যালেন্টাইন ডে বা ফাল্গুনের উৎসবের জন্য কিছু সুন্দর পোশাক খুঁজছেন, তাহলে মেহজীন এর কালেকশন আপনাকে দেবে এক নতুন রকমের স্টাইল এবং স্বাচ্ছন্দ্য।

১. হাফ সিল্ক শাড়ি (ভ্যালেন্টাইন ডে):

ভ্যালেন্টাইন ডে তে একে অপরকে ভালোবাসার অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য এই হাফ সিল্ক শাড়ি উপযুক্ত। এই শাড়ির সিল্ক এবং সুতির মিশ্রণ আপনাকে দিবে এক আরামদায়ক এবং ক্লাসি লুক। লাল বা গোলাপি রংয়ের শাড়ি এই দিনটির জন্য একদম পারফেক্ট।
রং: লাল, গোলাপি, সোনালি।

২. মিক্সড কটন শাড়ি (ফাল্গুন):

ফাল্গুনে বা বসন্তের দিনগুলিতে হালকা এবং আরামদায়ক শাড়ি পরা অনেক ভালো। মিক্সড কটন শাড়ি এমন একটি পোশাক যা গরমের দিনে খুবই আরামদায়ক এবং ফাল্গুনের ফুলেল পরিবেশে একেবারে মানানসই।
রং: পিচ, গোলাপি, প্যাস্টেল শেড।

৩. তসর শাড়ি (ফাল্গুন/ভ্যালেন্টাইন):

তসর শাড়ি একটি ভারী এবং ঐতিহ্যবাহী পোশাক, যা আপনাকে বিশেষ অনুষ্ঠানে বিশেষ অনুভূতি দিবে। যদি আপনি ভ্যালেন্টাইন ডে বা ফাল্গুনের জন্য একটু আনকমন এবং স্টাইলিশ পোশাক খুঁজছেন, তাহলে তসর শাড়ি একদম সঠিক পছন্দ।
রং: সোনালি, ম্যারুন, বেগুনি।

৪. মসলিন শাড়ি (ফাল্গুন):

ফাল্গুনে বা বসন্তের ঋতুতে মসলিন শাড়ি পরলে আপনাকে খুবই হালকা এবং আরামদায়ক অনুভূতি হবে। মসলিন শাড়ি গরমে পরা অনেক সহজ এবং আপনাকে পুরোপুরি সতেজ রাখবে।
রং: ক্রিম, সাদা, ল্যাভেন্ডার।

৫. পাঞ্জাবি (ভ্যালেন্টাইন/ফাল্গুন):

ভ্যালেন্টাইন ডে বা ফাল্গুনের মতো উৎসবে, মেহজীন ব্র্যান্ডের পাঞ্জাবি পরলে আপনি দেখতে পাবেন এক নতুন স্টাইল। এটি খুবই আরামদায়ক এবং সুন্দর, যা পূজা বা বিশেষ অনুষ্ঠানে পরিধান করতে পারবেন।
রং: অফ-হোয়াইট, নেভি ব্লু, বোতল সবুজ, কালো।

৬. থ্রি-পিস (ফাল্গুন/ভ্যালেন্টাইন):

থ্রি-পিস একটি জনপ্রিয় পোশাক যা কামিজ, সালোয়ার এবং ওড়নার সমন্বয়ে তৈরি। এটি একদম আধুনিক এবং স্টাইলিশ, যা আপনাকে ভ্যালেন্টাইন বা ফাল্গুনের বিশেষ দিনগুলিতে খুবই স্মার্ট এবং আরামদায়ক করবে।
রং: প্যাস্টেল, মেরুন, নেভি ব্লু, গোলাপি।

ভ্যালেন্টাইন এবং ফাল্গুনের জন্য মেহজীন ব্র্যান্ডের পোশাক কেন নির্বাচন করবেন?

১. আধুনিক এবং ঐতিহ্যবাহী ডিজাইন: মেহজীন ব্র্যান্ডের পোশাকগুলোতে স্টাইলের সাথে ঐতিহ্যও সুন্দরভাবে মিশে আছে, যা আপনাকে দিবে একটি নতুন আভা।

২. আরামদায়ক কাপড়: এই পোশাকগুলোতে ব্যবহৃত কাপড় খুবই আরামদায়ক, যা আপনাকে দীর্ঘ সময় স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

৩. বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত: আপনি যদি ভ্যালেন্টাইন ডে বা ফাল্গুনের মতো উৎসবের জন্য কোনো পোশাক খুঁজছেন, তাহলে মেহজীন ব্র্যান্ডের পোশাকগুলো একদম সঠিক পছন্দ হবে।

এবার আপনি নিশ্চিন্তে মেহজীন ব্র্যান্ডের পোশাক পরুন এবং আপনার ভ্যালেন্টাইন ডে ও ফাল্গুনের উৎসবকে আরও রঙিন ও স্মরণীয় করে তুলুন।

 

 মেহজীন ব্র্যান্ড – স্টাইল আর ঐতিহ্যের অসাধারণ মিল। আপনার ব্যক্তিত্বকে আরও উজ্জ্বল করতে মেহজীনের কালেকশনই সেরা। এখনই সংগ্রহ করুন!

উদযাপন হোক আরও অর্থবহ এই দিনটিকে আরও বিশেষ করতে বন্ধুদের নিয়ে আয়োজন করুন হলুদ পোশাকের গেট টুগেদার  কিংবা রান্না করুন বাংলাদেশি খাবারে ভরা রোমান্টিক ডিনার ।

 এই  ১৪ ফেব্রুয়ারি , ভালোবাসা আর রঙে ভরিয়ে দিন আপনার দিনটি। হাসি , আনন্দ  আর রঙিন উৎসবে মেতে উঠুন , আর দিনটিকে করে তুলুন সত্যিই স্মরণীয়! 

তাহলে আর দেরি কেনো? এখুনি যোগাযোগ করুন

আপনার পছন্দের মসলিন শাড়ির স্টক শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অর্ডার করুন। অথবা, সরাসরি আমাদের শো রুমে ভিজিট করে, আকর্ষণীয় মূল্য ছাড়ে আপনার পছন্দের মসলিন শাড়ি সংগ্রহ করুন। 

পছন্দের মসলিন শাড়ি অনলাইনে অর্ডার করতে আপনার নাম, মোবাইল নাম্বার ও ঠিকানাসহ ইনবক্স করুন- m.me/mehzin.retail

অথবা, সরাসরি আমাদের আউটলেট থেকে পার্চেজ করুন।

আউটলেট লোকেশনঃ এফ এস স্কয়ার, লেভেল-৩, শপ নাম্বার
৪২৮-৪২৯, মিরপুর ১০ গোলচত্তর মেট্রোরেল স্টেশনের সাথে, মিরপুর ১০, ঢাকা।

শাড়িতে নারী: ঐতিহ্যের পরশে নারীর অনন্য সৌন্দর্যের গল্প

শাড়ি, যা নারীর ঐতিহ্য এবং সৌন্দর্যের প্রতীক, যুগ যুগ ধরে নারীদের পোশাক হিসেবে জনপ্রিয়। “শাড়িতে নারী”—এই প্রবাদটি নারীর সৌন্দর্য এবং শাড়ির সঙ্গে তার গভীর সংযোগকে তুলে ধরে। শাড়ি পরা নারীরা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির পরিচয় বহন করেন এবং এটি তাদের সৌন্দর্যকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। শাড়ি শুধু একটি পোশাক নয়; এটি নারীর আত্মবিশ্বাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির প্রতিফলন।

শাড়ি পরার বিভিন্ন স্টাইল

শাড়ি এমন একটি পোশাক যা প্রতিটি নারীকে ভিন্ন ভিন্ন লুকে উপস্থাপন করতে সক্ষম। এটি পরার স্টাইল এবং কাপড়ের ধরন অনুযায়ী প্রতিবার নতুন রূপ দেয়। ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং পাকিস্তানের মতো দেশগুলোতে শাড়ি নারীদের প্রিয় পোশাক।

শাড়ি পরার স্টাইল: ভিন্ন ভিন্ন লুক

নারীরা সবসময় চান ভিন্ন কিছু, নতুন কিছু। আর শাড়ি সেই চাহিদা পূরণে সবচেয়ে উপযুক্ত। শাড়ি পরার বিভিন্ন স্টাইল প্রতিবারই এক নতুন অভিজ্ঞতা দেয়।

নারীদের সৌন্দর্য শাড়িতে

এশিয়ার নারীরা বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ, ও শ্রীলঙ্কার নারীরা শাড়িতে সবচেয়ে সুন্দর দেখায়। তাদের গায়ের রঙ, চুলের ধরন এবং ঐতিহ্যবাহী গয়নার সঙ্গে শাড়ির সমন্বয় তাদের অনন্য করে তোলে।

গবেষণা থেকে তথ্য

একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে শাড়ি পরা নারীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং তারা নিজেদের আরও সুন্দর মনে করেন। এছাড়া, বিভিন্ন ধরনের কাপড় যেমন সিল্ক, তন্তু, জামদানি, বেনারসি ইত্যাদি ব্যবহার করে তৈরি শাড়িগুলো ভিন্ন ভিন্ন লুক প্রদান করে।

শাড়ি শুধুমাত্র একটি পোশাক নয়; এটি নারীর ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং সৌন্দর্যের প্রতীক। সঠিক স্টাইলে শাড়ি পরলে প্রতিটি নারী তার নিজস্ব অনন্য রূপ ফুটিয়ে তুলতে পারেন।

১. নিভি স্টাইল: শাড়ি পরার ক্লাসিক এবং সহজ পদ্ধতি


নিভি স্টাইল শাড়ি পরার একটি জনপ্রিয় এবং ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতি, যা মূলত ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে উৎপত্তি হয়েছে। এটি শাড়ি পরার সবচেয়ে সহজ এবং ক্লাসিক স্টাইলগুলোর মধ্যে একটি, যা যেকোনো উৎসব বা অফিসিয়াল অনুষ্ঠানের জন্য একেবারে উপযুক্ত। নিচে নিভি স্টাইলে শাড়ি পরার ধাপগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো:

ধাপ ১: শাড়ির নিচের
  • প্রান্ত কোমরে গুঁজুন
  • প্রথমে পেটিকোট বা আন্ডারস্কার্ট পরে নিন।
  • শাড়ির এক প্রান্ত কোমরের ডান পাশে গুঁজুন।
  • শাড়িটি কোমরের চারপাশে একবার ঘুরিয়ে নিন, যাতে এটি পুরোপুরি আচ্ছাদিত হয়।
ধাপ ২: প্লিট তৈরি করুন
  • শাড়ির সামনের অংশ থেকে প্রায় ৫-৭টি সমান প্লিট তৈরি করুন।
  • প্রতিটি প্লিটের প্রস্থ প্রায় ৪-৫ ইঞ্চি হওয়া উচিত।
  • প্লিটগুলো একসঙ্গে ধরে পেটিকোটের সামনে গুঁজুন।
ধাপ ৩: আঁচল সাজানো
  • শাড়ির বাকি অংশটি কোমরের চারপাশে ঘুরিয়ে নিন এবং আঁচলটি ডান কাঁধে ফেলে দিন।
  • আঁচলের দৈর্ঘ্য এমনভাবে রাখুন যাতে এটি হাঁটু পর্যন্ত ঝুলে থাকে।
ধাপ ৪: আঁচল ঠিক করা
  • আঁচলটি কাঁধে পিন দিয়ে আটকে দিন, যাতে এটি সঠিকভাবে থাকে এবং চলাফেরায় অসুবিধা না হয়।
  • চাইলে আঁচলের প্রান্তটি সুন্দরভাবে ভাঁজ করে সাজিয়ে নিতে পারেন।
ধাপ ৫: সম্পূর্ণ লুক ঠিক করা
  • সবকিছু ঠিকঠাক করে নিন এবং আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখুন।
  • আপনার লুক সম্পূর্ণ করতে মানানসই গয়না এবং জুতা পরুন।
নিভি স্টাইলের বিশেষত্ব
  1. সহজ এবং আরামদায়ক: এই স্টাইলটি সহজেই পরা যায় এবং দীর্ঘ সময় ধরে আরামদায়ক থাকে।
  2. ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক: এটি ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার মিশ্রণ, যা যেকোনো অনুষ্ঠানে মানানসই।
  3. ভিন্ন লুক: নিভি স্টাইল আপনাকে একটি মার্জিত এবং ক্লাসিক লুক দেয়, যা উৎসব বা অফিসিয়াল পরিবেশে নজর কাড়ে।

নিভি স্টাইল এমন একটি পদ্ধতি, যা নারীর সৌন্দর্যকে আরও ফুটিয়ে তোলে। এটি পরার সহজ ধাপগুলো অনুসরণ করলে আপনি প্রতিবারই নতুন ও আকর্ষণীয় লুকে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারবেন।

২. আটপৌরে (বাঙালি) স্টাইল: শাড়ি পরার ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতি


আটপৌরে স্টাইল পশ্চিমবঙ্গের একটি বিশেষ শাড়ি পরার পদ্ধতি, যা বাঙালি নারীদের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। এটি মূলত পূজা, বিয়ে বা অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। আটপৌরে স্টাইল শাড়ি পরা সহজ হলেও এতে নারীর সৌন্দর্য এবং ব্যক্তিত্ব অসাধারণভাবে ফুটে ওঠে।
আটপৌরে স্টাইলে শাড়ি পরার ধাপগুলো

ধাপ ১: শাড়ির নিচের
  • প্রান্ত কোমরে গুঁজুন
  • প্রথমে পেটিকোট বা আন্ডারস্কার্ট পরে নিন।
  • শাড়ির এক প্রান্ত কোমরের ডান পাশে গুঁজুন।
  • শাড়িটি কোমরের চারপাশে একবার ঘুরিয়ে নিন, যাতে এটি পুরোপুরি ঢেকে যায়।
ধাপ ২: প্লিট তৈরি করুন
  • শাড়ির সামনের অংশ থেকে প্রায় ৫-৭টি সমান প্লিট তৈরি করুন।
  • প্রতিটি প্লিটের প্রস্থ প্রায় ৪-৫ ইঞ্চি হওয়া উচিত।
  • প্লিটগুলো একসঙ্গে ধরে পেটিকোটের সামনে গুঁজুন।
ধাপ ৩: আঁচল পেছন থেকে সামনে আনুন
  • শাড়ির বাকি অংশটি কোমরের চারপাশে ঘুরিয়ে নিন।
  • আঁচলটি পেছন থেকে এনে বাঁ হাতে ফেলে দিন।
  • আঁচলের দৈর্ঘ্য এমনভাবে রাখুন যাতে এটি হাঁটু পর্যন্ত ঝুলে থাকে।
ধাপ ৪: আঁচল ঠিক করা
  • আঁচলটি সুন্দরভাবে ভাঁজ করে বাঁ হাতে ধরে রাখুন বা পিন দিয়ে আটকে দিন।
  • চাইলে আঁচলের প্রান্তটি সুন্দরভাবে সাজিয়ে নিতে পারেন।
ধাপ ৫: সম্পূর্ণ লুক ঠিক করা
  • সবকিছু ঠিকঠাক করে নিন এবং আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখুন।
  • আপনার লুক সম্পূর্ণ করতে মানানসই গয়না ও চুলের সাজ বেছে নিন।
আটপৌরে স্টাইলের বিশেষত্ব
  1. ঐতিহ্যবাহী লুক: আটপৌরে স্টাইলে শাড়ি পরলে নারীর ঐতিহ্যবাহী সৌন্দর্য আরও ফুটে ওঠে।
  2. উৎসবমুখর পরিবেশ: এটি পূজা বা বিয়ের মতো অনুষ্ঠানের জন্য আদর্শ।
  3. আরামদায়ক: এই স্টাইলটি আরামদায়ক এবং সহজেই পরিধানযোগ্য।

আটপৌরে (বাঙালি) স্টাইল শাড়ি পরার একটি চিরন্তন পদ্ধতি, যা বাঙালি নারীদের ঐতিহ্যের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। সঠিক ধাপে এই স্টাইলে শাড়ি পরলে আপনি প্রতিটি উৎসবে নিজেকে অনন্য এবং আকর্ষণীয় রূপে উপস্থাপন করতে পারবেন।

৩. গুজরাটি বা রাজরানি স্টাইল: শাড়ি পরার ঐতিহ্যবাহী এবং গর্জিয়াস পদ্ধতি


গুজরাটি বা রাজরানি স্টাইল শাড়ি পরার একটি বিশেষ পদ্ধতি, যা ভারতের গুজরাট থেকে উদ্ভূত। এই স্টাইলটি ঐতিহ্যবাহী এবং রাজকীয় লুক প্রদান করে। এটি বিশেষত ব্যবসায়িক অনুষ্ঠান এবং উৎসবে নারীদের আকর্ষণীয় ও গর্জিয়াস লুক দিতে ব্যবহৃত হয়।
গুজরাটি স্টাইলে শাড়ি পরার ধাপগুলো

ধাপ ১: শাড়ির নিচের
  • প্রান্ত কোমরে গুঁজুন প্রথমে পেটিকোট বা আন্ডারস্কার্ট পরে নিন।
  • শাড়ির এক প্রান্ত কোমরের ডান পাশে গুঁজুন।
  • শাড়িটি কোমরের চারপাশে একবার ঘুরিয়ে নিন, যাতে এটি পুরোপুরি ঢেকে যায়।
ধাপ ২: প্লিট তৈরি করুন
  • সামনের অংশ থেকে প্রায় ৫-৭টি সমান প্লিট তৈরি করুন।
  • প্রতিটি প্লিটের প্রস্থ প্রায় ৪-৫ ইঞ্চি হওয়া উচিত।
  • প্লিটগুলো একসঙ্গে ধরে পেটিকোটের সামনে গুঁজুন।
ধাপ ৩: আঁচল পেছন থেকে সামনে আনুন
  • শাড়ির বাকি অংশটি কোমরের চারপাশ দিয়ে ঘুরিয়ে নিন।
  • আঁচলটি পেছন থেকে এনে ডান কাঁধে ফেলে দিন।
ধাপ ৪: আঁচল ঠিক করা
  • এবং কোমরে আটকানো
  • আঁচলটি ডান কাঁধ থেকে সামনের দিকে ঝুলিয়ে রাখুন।
  • আঁচলের বাকি অংশটি বাম কোমরে এনে পিন দিয়ে আটকে দিন, যাতে এটি সঠিকভাবে থাকে এবং চলাফেরায় অসুবিধা না হয়।
ধাপ ৫: সম্পূর্ণ লুক ঠিক করা
  • আঁচলটি সুন্দরভাবে ভাঁজ করে সাজিয়ে নিন।
  • আপনার লুক সম্পূর্ণ করতে মানানসই গয়না, বিশেষত বড় কানের দুল এবং চুড়ি পরুন।
গুজরাটি স্টাইলের বিশেষত্ব
  1. রাজকীয় লুক: এই স্টাইলটি আপনাকে একটি ঐতিহ্যবাহী ও রাজকীয় রূপ দেয়।
  2. উৎসবমুখর পরিবেশ: এটি উৎসব, বিয়ে বা ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানের জন্য আদর্শ।
  3. আরামদায়ক: আঁচলটি সঠিকভাবে আটকে রাখলে এটি আরামদায়ক এবং চলাফেরায় সুবিধাজনক।

গুজরাটি বা রাজরানি স্টাইল শাড়ি পরার একটি চিরন্তন এবং আকর্ষণীয় পদ্ধতি, যা নারীর সৌন্দর্যকে আরও ফুটিয়ে তোলে। সঠিক ধাপে এই স্টাইলে শাড়ি পরলে আপনি প্রতিটি অনুষ্ঠানে নিজেকে অনন্য এবং আকর্ষণীয় রূপে উপস্থাপন করতে পারবেন।

৪. মহারাষ্ট্রীয় কাস্তা স্টাইল: ঐতিহ্যের ছোঁয়ায় শাড়ি পরার ধুতি পদ্ধতি


মহারাষ্ট্রীয় কাস্তা স্টাইল শাড়ি পরার একটি বিশেষ ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতি, যা ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে উদ্ভূত। এই স্টাইলটি ধুতি পরার মতো করে শাড়ি ড্রেপ করার জন্য পরিচিত। এটি নারীদের আরামদায়ক চলাফেরা এবং একটি অনন্য লুক প্রদান করে। বিশেষত ঐতিহ্যবাহী নৃত্য এবং সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এই স্টাইলটি বেশ জনপ্রিয়।
মহারাষ্ট্রীয় কাস্তা স্টাইলে শাড়ি পরার ধাপগুলো

ধাপ ১: শাড়ির নিচের
  • প্রান্ত কোমরে গুঁজুন
  • প্রথমে পেটিকোট ছাড়া শাড়ি পরা শুরু করুন, কারণ এই স্টাইলে পেটিকোটের প্রয়োজন হয় না।
  • শাড়ির এক প্রান্ত কোমরের ডান পাশে গুঁজুন এবং এটি কোমরের চারপাশে একবার ঘুরিয়ে নিন।
ধাপ ২: প্লিট তৈরি করুন
  • সামনের অংশ থেকে প্রায় ৫-৭টি সমান প্লিট তৈরি করুন।
  • প্লিটগুলো একসঙ্গে ধরে সামনের দিকে টেনে নিন এবং এটি পায়ের মাঝখানে নিয়ে যান।
  • প্লিটগুলো পেছনে নিয়ে গিয়ে কোমরে গুঁজুন।
ধাপ ৩: পেছনের অংশ ঠিক করা
  • শাড়ির বাকি অংশটি পেছন থেকে সামনের দিকে নিয়ে আসুন।
  • এটি কোমরের বাম পাশে গুঁজুন, যাতে এটি ধুতির মতো দেখায়।
ধাপ ৪: আঁচল সাজানো
  • শাড়ির বাকি অংশটি সামনে এনে ডান কাঁধে ফেলে দিন।
  • আঁচলটি সুন্দরভাবে ভাঁজ করে কাঁধে আটকে দিন বা পিন ব্যবহার করুন।
ধাপ ৫: সম্পূর্ণ লুক ঠিক করা
  • সবকিছু ঠিকঠাক করে নিন এবং আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখুন।
  • আপনার লুক সম্পূর্ণ করতে মানানসই গয়না, বিশেষত নথ বা বড় নাকের দুল এবং চুড়ি ব্যবহার করুন।
মহারাষ্ট্রীয় কাস্তা স্টাইলের বিশেষত্ব
  1. আরামদায়ক চলাফেরা: ধুতি স্টাইলে ড্রেপ করার কারণে এটি আরামদায়ক এবং চলাফেরার জন্য সুবিধাজনক।
  2. ঐতিহ্যবাহী লুক: এটি মহারাষ্ট্রের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটায়।
  3. উপযুক্ততা: ঐতিহ্যবাহী নৃত্য, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সংস্কৃতিক পরিবেশে এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।


মহারাষ্ট্রীয় কাস্তা স্টাইল শাড়ি পরার একটি চিরন্তন এবং আকর্ষণীয় পদ্ধতি, যা নারীর সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্বকে আরও ফুটিয়ে তোলে। সঠিক ধাপে এই স্টাইলে শাড়ি পরলে আপনি প্রতিটি ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে নিজেকে অনন্য রূপে উপস্থাপন করতে পারবেন।

৫. তামিলিয়ান বা মাদিসার স্টাইল: শাড়ি পরার ঐতিহ্যবাহী এবং ধর্মীয় পদ্ধতি

তামিলিয়ান বা মাদিসার স্টাইল শাড়ি পরার একটি বিশেষ ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতি, যা ভারতের তামিলনাড়ু থেকে উদ্ভূত। এটি মূলত ৯ গজ লম্বা শাড়ি দিয়ে ড্রেপ করা হয় এবং ধুতি ও শাড়ির মিশ্রণে তৈরি এই স্টাইলটি অত্যন্ত অনন্য। বিশেষত ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং বিয়েতে এই স্টাইলটি ব্যবহৃত হয়, যা নারীদের একটি ঐতিহ্যবাহী এবং রাজকীয় লুক প্রদান করে।

তামিলিয়ান বা মাদিসার স্টাইলে শাড়ি পরার ধাপগুলো
ধাপ ১: শাড়ির নিচের অংশ
  • কোমরে গুঁজুন
  • একটি ৯ গজ লম্বা শাড়ি বেছে নিন।
  • শাড়ির এক প্রান্ত কোমরের ডান পাশে গুঁজুন এবং এটি কোমরের চারপাশে একবার ঘুরিয়ে নিন।
ধাপ ২: প্লিট তৈরি করুন
  • সামনের অংশ থেকে প্রায় ৫-৭টি সমান প্লিট তৈরি করুন।
  • প্লিটগুলো একসঙ্গে ধরে সামনের দিকে টেনে নিন এবং এটি পায়ের মাঝখানে নিয়ে যান।
  • প্লিটগুলো পেছনে নিয়ে গিয়ে কোমরে গুঁজুন, যাতে এটি ধুতির মতো দেখায়।
ধাপ ৩: পেছনের অংশ ঠিক করা
  • শাড়ির বাকি অংশটি পেছন থেকে সামনের দিকে এনে কোমরের বাম পাশে গুঁজুন।
  • এটি এমনভাবে সাজান যাতে পুরো শরীর সুন্দরভাবে ঢেকে যায়।
ধাপ ৪: আঁচল সাজানো
  • শাড়ির বাকি অংশটি সামনের দিক থেকে ঘুরিয়ে ডান কাঁধে ফেলে দিন।
  • আঁচলটি সুন্দরভাবে ভাঁজ করে কাঁধে আটকে দিন বা পিন ব্যবহার করুন।
ধাপ ৫: সম্পূর্ণ লুক ঠিক করা
  • সবকিছু ঠিকঠাক করে নিন এবং আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখুন।
  • আপনার লুক সম্পূর্ণ করতে মানানসই গয়না, বিশেষত সোনার চুড়ি, নথ এবং বড় কানের দুল ব্যবহার করুন।
তামিলিয়ান বা মাদিসার স্টাইলের বিশেষত্ব
  1. ঐতিহ্যবাহী রূপ: এই স্টাইলটি তামিল সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটায়।
  2. উপযুক্ততা: ধর্মীয় অনুষ্ঠান, পূজা এবং বিয়ের জন্য আদর্শ।
  3. আরামদায়ক চলাফেরা: ধুতি ও শাড়ির মিশ্রণে তৈরি এই স্টাইলটি আরামদায়ক এবং চলাফেরায় সুবিধাজনক।

তামিলিয়ান বা মাদিসার স্টাইল শাড়ি পরার একটি চিরন্তন এবং আকর্ষণীয় পদ্ধতি, যা নারীর সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্বকে আরও ফুটিয়ে তোলে। সঠিক ধাপে এই স্টাইলে শাড়ি পরলে আপনি প্রতিটি ধর্মীয় বা ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে নিজেকে অনন্য রূপে উপস্থাপন করতে পারবেন।

৬.বাটারফ্লাই স্টাইল: আধুনিক শাড়ি পরার আকর্ষণীয় পদ্ধতি

বাটারফ্লাই স্টাইল শাড়ি পরার একটি আধুনিক এবং আকর্ষণীয় পদ্ধতি, যা ভারতে উদ্ভূত হয়েছে। এটি মূলত নিভি স্টাইলের মতো, তবে এতে আঁচলটি সরু করে পেটের অংশ খোলা রাখা হয়। এই স্টাইলটি নারীদের একটি গ্ল্যামারাস এবং আকর্ষণীয় লুক দেয়, যা পার্টি এবং সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য একেবারে আদর্শ।

বাটারফ্লাই স্টাইলে শাড়ি পরার ধাপগুলো
ধাপ ১: শাড়ির নিচের
  • প্রান্ত কোমরে গুঁজুন
  • প্রথমে পেটিকোট বা আন্ডারস্কার্ট পরে নিন।
  • শাড়ির এক প্রান্ত কোমরের ডান পাশে গুঁজুন।
  • শাড়িটি কোমরের চারপাশে একবার ঘুরিয়ে নিন, যাতে এটি পুরোপুরি ঢেকে যায়।
ধাপ ২: প্লিট তৈরি করুন
  • সামনের অংশ থেকে প্রায় ৫-৭টি সমান প্লিট তৈরি করুন।
  • প্লিটগুলো একসঙ্গে ধরে পেটিকোটের সামনে গুঁজুন।
ধাপ ৩: আঁচল সরু করে সাজানো
  • শাড়ির বাকি অংশটি কোমরের চারপাশ দিয়ে ঘুরিয়ে নিন।
  • আঁচলটি ডান কাঁধে ফেলে দিন এবং এটি সরু ও হালকা ভাঁজ করুন।
  • আঁচলের প্রান্তটি এমনভাবে সাজান যাতে পেটের অংশ খোলা থাকে এবং এটি একটি বাটারফ্লাই আকৃতি তৈরি করে।
ধাপ ৪: আঁচল ঠিক করা
  • আঁচলটি কাঁধে পিন দিয়ে আটকে দিন, যাতে এটি সঠিকভাবে থাকে এবং চলাফেরায় অসুবিধা না হয়।
  • চাইলে আঁচলের প্রান্তটি সুন্দরভাবে ভাঁজ করে আরও আকর্ষণীয় লুক দিতে পারেন।
ধাপ ৫: সম্পূর্ণ লুক ঠিক করা
  • সবকিছু ঠিকঠাক করে নিন এবং আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখুন।
  • আপনার লুক সম্পূর্ণ করতে মানানসই গয়না, বিশেষত ঝুমকা বা বড় কানের দুল এবং ব্রেসলেট ব্যবহার করুন।
বাটারফ্লাই স্টাইলের বিশেষত্ব
  1. গ্ল্যামারাস লুক: এই স্টাইলটি নারীদের একটি আধুনিক এবং আকর্ষণীয় রূপ দেয়।
  2. উপযুক্ততা: পার্টি, সামাজিক অনুষ্ঠান এবং ফ্যাশন শো-এর জন্য আদর্শ।
  3. আরামদায়ক: আঁচল সরু করে পরার কারণে এটি হালকা এবং আরামদায়ক অনুভূতি দেয়।

বাটারফ্লাই স্টাইল শাড়ি পরার একটি আধুনিক এবং আকর্ষণীয় পদ্ধতি, যা নারীর সৌন্দর্যকে আরও ফুটিয়ে তোলে। সঠিক ধাপে এই স্টাইলে শাড়ি পরলে আপনি প্রতিটি পার্টি বা সামাজিক অনুষ্ঠানে নজর কাড়তে পারবেন এবং নিজেকে আরও আত্মবিশ্বাসী মনে করবেন।

৭. মারমেইড স্টাইল: শাড়ি পরার আধুনিক এবং গ্ল্যামারাস পদ্ধতি

মারমেইড স্টাইল শাড়ি পরার একটি আধুনিক ফিউশন পদ্ধতি, যা নারীদের একটি আকর্ষণীয় এবং মৎস্যকন্যার মতো লুক প্রদান করে। এই স্টাইলটি বিশেষত গ্ল্যামারাস অনুষ্ঠান, যেমন পার্টি বা রেড কার্পেট ইভেন্টের জন্য আদর্শ। এটি শরীরের সঙ্গে আটসাঁট করে ড্রেপ করা হয়, যা নারীর আকৃতিকে আরও ফুটিয়ে তোলে এবং নজর কাড়ে।

মারমেইড স্টাইলে শাড়ি পরার ধাপগুলো
ধাপ ১: শাড়ির নিচের
  • প্রান্ত কোমরে গুঁজুন
  • প্রথমে পেটিকোট বা আন্ডারস্কার্ট পরে নিন।
  • শাড়ির এক প্রান্ত কোমরের ডান পাশে গুঁজুন।
  • শাড়িটি কোমরের চারপাশে একবার ঘুরিয়ে নিন, যাতে এটি পুরোপুরি ঢেকে যায়।
ধাপ ২: প্লিট তৈরি করুন
  • সামনের অংশ থেকে প্রায় ৫-৭টি সমান প্লিট তৈরি করুন।
  • প্রতিটি প্লিটের প্রস্থ ছোট রাখুন, যাতে এটি শরীরের সঙ্গে আটসাঁট থাকে।
  • প্লিটগুলো একসঙ্গে ধরে পেটিকোটের সামনে গুঁজুন।
ধাপ ৩: আঁচল সরু করে সাজানো
  • শাড়ির বাকি অংশটি কোমরের চারপাশ দিয়ে ঘুরিয়ে নিন।
  • আঁচলটি ডান কাঁধে ফেলে দিন এবং এটি সরু ও হালকা ভাঁজ করুন।
  • আঁচলের প্রান্তটি এমনভাবে সাজান যাতে এটি শরীরের আকৃতি আরও ফুটিয়ে তোলে।
ধাপ ৪: আঁচল ঠিক করা এবং আটসাঁট লুক তৈরি করা
  • আঁচলটি কাঁধে পিন দিয়ে আটকে দিন, যাতে এটি সঠিকভাবে থাকে এবং চলাফেরায় অসুবিধা না হয়।
  • পুরো শাড়িটি এমনভাবে ড্রেপ করুন যাতে এটি মৎস্যকন্যার মতো আকৃতি দেয়।
ধাপ ৫: সম্পূর্ণ লুক ঠিক করা
  • সবকিছু ঠিকঠাক করে নিন এবং আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখুন।
  • আপনার লুক সম্পূর্ণ করতে মানানসই গয়না, বিশেষত ঝুমকা বা বড় কানের দুল এবং হাই হিল ব্যবহার করুন।
মারমেইড স্টাইলের বিশেষত্ব
  1. আকর্ষণীয় লুক: এই স্টাইলটি নারীদের একটি আধুনিক এবং আকর্ষণীয় রূপ দেয়।
  2. উপযুক্ততা: গ্ল্যামারাস অনুষ্ঠান, পার্টি বা ফ্যাশন ইভেন্টের জন্য আদর্শ।
  3. শরীরের আকৃতি ফুটিয়ে তোলা: আটসাঁট ড্রেপ করার কারণে এটি নারীর আকৃতিকে আরও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে।

মারমেইড স্টাইল শাড়ি পরার একটি আধুনিক এবং আকর্ষণীয় পদ্ধতি, যা নারীদের গ্ল্যামারাস রূপে উপস্থাপন করে। সঠিক ধাপে এই স্টাইলে শাড়ি পরলে আপনি প্রতিটি অনুষ্ঠানে নজর কাড়তে পারবেন এবং নিজেকে আরও আত্মবিশ্বাসী মনে করবেন।

মেহজীন ব্র্যান্ডের শাড়ি: আপনার স্টাইলের সেরা সঙ্গী

শাড়ি বাঙালি নারীর ঐতিহ্যের এক অনন্য পরিচায়ক। এটি পরার মাধ্যমে একজন নারীর সৌন্দর্য এবং ব্যক্তিত্ব আরও ফুটে ওঠে। মেহজীন ব্র্যান্ড, শাড়ি প্রস্তুতকারী হিসেবে, এই ঐতিহ্যকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। তাদের শাড়ি শুধুমাত্র মানসম্মত নয়, বরং এটি আপনার লুককে আরও স্টাইলিশ এবং আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে সক্ষম। মেহজীন ব্র্যান্ডের হাফ সিল্ক, মিক্সড কটন, তসর,মিক্স সুতি শাড়ি, এবং মসলিন শাড়ি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আপনাকে দেবে অনন্য এক অভিজ্ঞতা।

শাড়ি পরার বিভিন্ন স্টাইল এবং মেহজীন ব্র্যান্ডের শাড়ি

১. নিভি স্টাইল

নিভি স্টাইল শাড়ি পরার একটি ক্লাসিক পদ্ধতি, যা যেকোনো উৎসব বা অফিসিয়াল অনুষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত।

  • হাফ সিল্ক শাড়ি: নিভি স্টাইলে হাফ সিল্ক শাড়ি দারুণ মানানসই। এটি আপনার লুককে গর্জিয়াস করে তুলবে।
  • মিক্সড কটন শাড়ি: দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য নিভি স্টাইলে মিক্সড কটন শাড়ি আরামদায়ক এবং ফ্যাশনেবল।
  • তসর শাড়ি: বিশেষ অনুষ্ঠানে নিভি স্টাইলে তসর শাড়ি আপনাকে আভিজাত্যপূর্ণ লুক দেবে।
  • মসলিন শাড়ি: গরমের দিনে মসলিন শাড়ি নিভি স্টাইলে আরামদায়ক ও স্নিগ্ধ লুক প্রদান করে।
  • মিক্স সুতি শাড়ি: সহজ এবং আরামদায়ক লুকের জন্য নিভি স্টাইলে মিক্স সুতি শাড়ি আদর্শ।
২. বাঙালি আটপৌরে স্টাইল

বাঙালি আটপৌরে স্টাইল ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িত, যা পূজা বা বিয়ের অনুষ্ঠানে সবচেয়ে জনপ্রিয়।

  • হাফ সিল্ক শাড়ি: আটপৌরে স্টাইলে হাফ সিল্ক শাড়ি আপনাকে ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক লুক দেবে।
  • মিক্সড কটন শাড়ি: আটপৌরে স্টাইলে মিক্সড কটন শাড়ি হালকা এবং আরামদায়ক।
  • তসর শাড়ি: বিয়ে বা বড় অনুষ্ঠানে আটপৌরে স্টাইলে তসর শাড়ির রাজকীয়তা নজর কাড়ে।
  • মসলিন শাড়ি: আটপৌরে স্টাইলে মসলিন শাড়ির সূক্ষ্মতা আপনাকে আরও মার্জিত করে তুলবে।
  • মিক্স সুতি শাড়ি: আটপৌরে স্টাইলে মিক্স সুতি শাড়ির হালকা রঙ আপনাকে কোমল লুক দেবে।
৩. গুজরাটি বা রাজরানি স্টাইল

গুজরাটি বা রাজরানি স্টাইল পার্টি বা উৎসবের জন্য আদর্শ।

  • হাফ সিল্ক শাড়ি: গুজরাটি স্টাইলে হাফ সিল্ক শাড়ির ঝলমলে রঙ আপনাকে আকর্ষণীয় লুক দেবে।
  • মিক্সড কটন শাড়ি: গুজরাটি স্টাইলে মিক্সড কটন শাড়ির হালকা কাপড় আরামদায়ক হবে।
  • তসর শাড়ি: গুজরাটি স্টাইলে তসর শাড়ির গাঢ় রঙ আপনাকে আভিজাত্যপূর্ণ দেখাবে।
  • মসলিন শাড়ি: গুজরাটি স্টাইলে মসলিন শাড়ির সূক্ষ্মতা আপনাকে নান্দনিক লুক দেবে।
  • মিক্স সুতি শাড়ি: গুজরাটি স্টাইলে মিক্স সুতি শাড়ির হালকা ডিজাইন আপনাকে সহজ এবং মার্জিত দেখাবে।
৪. মহারাষ্ট্রীয় কাস্তা স্টাইল

মহারাষ্ট্রীয় কাস্তা স্টাইল ধুতি এবং শাড়ির মিশ্রণ, যা ঐতিহ্যবাহী নৃত্যে ব্যবহৃত হয়।

  • হাফ সিল্ক শাড়ি: কাস্তা স্টাইলে হাফ সিল্ক আপনার লুককে উজ্জ্বল করবে।
  • মিক্সড কটন শাড়ি: কাস্তা স্টাইলে মিক্সড কটনের আরামদায়ক ফ্যাব্রিক চলাচলের জন্য উপযোগী।
  • তসর শাড়ি: কাস্তা স্টাইলে তসর আপনার ঐতিহ্যবাহী লুককে আরও সমৃদ্ধ করবে।
  • মসলিন শাড়ি: কাস্তা স্টাইলে মসলিন আপনার লুকে সূক্ষ্মতা যোগ করবে।
৫. তামিলিয়ান বা মাদিসার স্টাইল

এই ৯ গজের ড্রেপিং পদ্ধতি ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও বিয়েতে জনপ্রিয়।

  • হাফ সিল্ক শাড়ি: তামিলিয়ান স্টাইলে হাফ সিল্কের ঝলমলে রঙ আপনাকে উজ্জ্বল দেখাবে।
  • মিক্সড কটন শাড়ি: তামিলিয়ান ড্রেপিংয়ে মিক্সড কটনের আরাম আপনাকে স্বস্তিদায়ক অনুভূতি দেবে।
  • তসর শাড়ি: তামিলিয়ান ড্রেপিংয়ে তসর আপনার রাজকীয় লুককে ফুটিয়ে তুলবে।
৬. বাটারফ্লাই স্টাইল

এই আধুনিক পদ্ধতিতে আঁচল সরু করে পেট খোলা রাখা হয়, যা পার্টিতে জনপ্রিয়।

  • হাফ সিল্ক শাড়ি: বাটারফ্লাই স্টাইলে হাফ সিল্কের ঝলক নজর কাড়ে।
  • মিক্সড কটন শাড়ি: বাটারফ্লাই ড্রেপিংয়ে মিক্সড কটনের হালকা কাপড় আরামদায়ক হবে।
৭. মারমেইড স্টাইল

আধুনিক ফিউশন পদ্ধতি, যা শরীরকে আটসাঁট করে ড্রেপ করা হয় এবং পার্টিতে নজর কাড়ে।

  • হাফ সিল্ক শাড়ি: মারমেইড ড্রেপিংয়ে হাফ সিল্ক আপনার আকৃতিকে ফুটিয়ে তোলে।

“শাড়িতে নারী”—এই প্রবাদটি সত্যিই নারীর ঐতিহ্যের প্রতীক, যা তার সৌন্দর্যকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে। মেহজীন ব্র্যান্ডের হাফ সিল্ক, মিক্সড কটন, তসর, এবং মসলিন শাড়িগুলো প্রতিটি অনুষ্ঠানে আপনার সেরা সঙ্গী হতে পারে।
আজই মেহজীন ব্র্যান্ডের একটি সুন্দর শাড়ি বেছে নিন এবং নিজের সৌন্দর্যে নতুন মাত্রা যোগ করুন!

m.me/mehzin.retail

অথবা, সরাসরি আমাদের আউটলেট থেকে পার্চেজ করুন।

আউটলেট লোকেশনঃ এফ এস স্কয়ার, লেভেল-৩, শপ নাম্বার
৪২৮-৪২৯, মিরপুর ১০ গোলচত্তর মেট্রোরেল স্টেশনের সাথে, মিরপুর ১০, ঢাকা।