শাড়িতে নারী: ঐতিহ্যের পরশে নারীর অনন্য সৌন্দর্যের গল্প

শাড়ি, যা নারীর ঐতিহ্য এবং সৌন্দর্যের প্রতীক, যুগ যুগ ধরে নারীদের পোশাক হিসেবে জনপ্রিয়। “শাড়িতে নারী”—এই প্রবাদটি নারীর সৌন্দর্য এবং শাড়ির সঙ্গে তার গভীর সংযোগকে তুলে ধরে। শাড়ি পরা নারীরা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির পরিচয় বহন করেন এবং এটি তাদের সৌন্দর্যকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। শাড়ি শুধু একটি পোশাক নয়; এটি নারীর আত্মবিশ্বাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির প্রতিফলন।

শাড়ি পরার বিভিন্ন স্টাইল

শাড়ি এমন একটি পোশাক যা প্রতিটি নারীকে ভিন্ন ভিন্ন লুকে উপস্থাপন করতে সক্ষম। এটি পরার স্টাইল এবং কাপড়ের ধরন অনুযায়ী প্রতিবার নতুন রূপ দেয়। ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং পাকিস্তানের মতো দেশগুলোতে শাড়ি নারীদের প্রিয় পোশাক।

শাড়ি পরার স্টাইল: ভিন্ন ভিন্ন লুক

নারীরা সবসময় চান ভিন্ন কিছু, নতুন কিছু। আর শাড়ি সেই চাহিদা পূরণে সবচেয়ে উপযুক্ত। শাড়ি পরার বিভিন্ন স্টাইল প্রতিবারই এক নতুন অভিজ্ঞতা দেয়।

নারীদের সৌন্দর্য শাড়িতে

এশিয়ার নারীরা বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ, ও শ্রীলঙ্কার নারীরা শাড়িতে সবচেয়ে সুন্দর দেখায়। তাদের গায়ের রঙ, চুলের ধরন এবং ঐতিহ্যবাহী গয়নার সঙ্গে শাড়ির সমন্বয় তাদের অনন্য করে তোলে।

গবেষণা থেকে তথ্য

একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে শাড়ি পরা নারীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং তারা নিজেদের আরও সুন্দর মনে করেন। এছাড়া, বিভিন্ন ধরনের কাপড় যেমন সিল্ক, তন্তু, জামদানি, বেনারসি ইত্যাদি ব্যবহার করে তৈরি শাড়িগুলো ভিন্ন ভিন্ন লুক প্রদান করে।

শাড়ি শুধুমাত্র একটি পোশাক নয়; এটি নারীর ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং সৌন্দর্যের প্রতীক। সঠিক স্টাইলে শাড়ি পরলে প্রতিটি নারী তার নিজস্ব অনন্য রূপ ফুটিয়ে তুলতে পারেন।

১. নিভি স্টাইল: শাড়ি পরার ক্লাসিক এবং সহজ পদ্ধতি


নিভি স্টাইল শাড়ি পরার একটি জনপ্রিয় এবং ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতি, যা মূলত ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে উৎপত্তি হয়েছে। এটি শাড়ি পরার সবচেয়ে সহজ এবং ক্লাসিক স্টাইলগুলোর মধ্যে একটি, যা যেকোনো উৎসব বা অফিসিয়াল অনুষ্ঠানের জন্য একেবারে উপযুক্ত। নিচে নিভি স্টাইলে শাড়ি পরার ধাপগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো:

ধাপ ১: শাড়ির নিচের
  • প্রান্ত কোমরে গুঁজুন
  • প্রথমে পেটিকোট বা আন্ডারস্কার্ট পরে নিন।
  • শাড়ির এক প্রান্ত কোমরের ডান পাশে গুঁজুন।
  • শাড়িটি কোমরের চারপাশে একবার ঘুরিয়ে নিন, যাতে এটি পুরোপুরি আচ্ছাদিত হয়।
ধাপ ২: প্লিট তৈরি করুন
  • শাড়ির সামনের অংশ থেকে প্রায় ৫-৭টি সমান প্লিট তৈরি করুন।
  • প্রতিটি প্লিটের প্রস্থ প্রায় ৪-৫ ইঞ্চি হওয়া উচিত।
  • প্লিটগুলো একসঙ্গে ধরে পেটিকোটের সামনে গুঁজুন।
ধাপ ৩: আঁচল সাজানো
  • শাড়ির বাকি অংশটি কোমরের চারপাশে ঘুরিয়ে নিন এবং আঁচলটি ডান কাঁধে ফেলে দিন।
  • আঁচলের দৈর্ঘ্য এমনভাবে রাখুন যাতে এটি হাঁটু পর্যন্ত ঝুলে থাকে।
ধাপ ৪: আঁচল ঠিক করা
  • আঁচলটি কাঁধে পিন দিয়ে আটকে দিন, যাতে এটি সঠিকভাবে থাকে এবং চলাফেরায় অসুবিধা না হয়।
  • চাইলে আঁচলের প্রান্তটি সুন্দরভাবে ভাঁজ করে সাজিয়ে নিতে পারেন।
ধাপ ৫: সম্পূর্ণ লুক ঠিক করা
  • সবকিছু ঠিকঠাক করে নিন এবং আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখুন।
  • আপনার লুক সম্পূর্ণ করতে মানানসই গয়না এবং জুতা পরুন।
নিভি স্টাইলের বিশেষত্ব
  1. সহজ এবং আরামদায়ক: এই স্টাইলটি সহজেই পরা যায় এবং দীর্ঘ সময় ধরে আরামদায়ক থাকে।
  2. ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক: এটি ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার মিশ্রণ, যা যেকোনো অনুষ্ঠানে মানানসই।
  3. ভিন্ন লুক: নিভি স্টাইল আপনাকে একটি মার্জিত এবং ক্লাসিক লুক দেয়, যা উৎসব বা অফিসিয়াল পরিবেশে নজর কাড়ে।

নিভি স্টাইল এমন একটি পদ্ধতি, যা নারীর সৌন্দর্যকে আরও ফুটিয়ে তোলে। এটি পরার সহজ ধাপগুলো অনুসরণ করলে আপনি প্রতিবারই নতুন ও আকর্ষণীয় লুকে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারবেন।

২. আটপৌরে (বাঙালি) স্টাইল: শাড়ি পরার ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতি


আটপৌরে স্টাইল পশ্চিমবঙ্গের একটি বিশেষ শাড়ি পরার পদ্ধতি, যা বাঙালি নারীদের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। এটি মূলত পূজা, বিয়ে বা অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। আটপৌরে স্টাইল শাড়ি পরা সহজ হলেও এতে নারীর সৌন্দর্য এবং ব্যক্তিত্ব অসাধারণভাবে ফুটে ওঠে।
আটপৌরে স্টাইলে শাড়ি পরার ধাপগুলো

ধাপ ১: শাড়ির নিচের
  • প্রান্ত কোমরে গুঁজুন
  • প্রথমে পেটিকোট বা আন্ডারস্কার্ট পরে নিন।
  • শাড়ির এক প্রান্ত কোমরের ডান পাশে গুঁজুন।
  • শাড়িটি কোমরের চারপাশে একবার ঘুরিয়ে নিন, যাতে এটি পুরোপুরি ঢেকে যায়।
ধাপ ২: প্লিট তৈরি করুন
  • শাড়ির সামনের অংশ থেকে প্রায় ৫-৭টি সমান প্লিট তৈরি করুন।
  • প্রতিটি প্লিটের প্রস্থ প্রায় ৪-৫ ইঞ্চি হওয়া উচিত।
  • প্লিটগুলো একসঙ্গে ধরে পেটিকোটের সামনে গুঁজুন।
ধাপ ৩: আঁচল পেছন থেকে সামনে আনুন
  • শাড়ির বাকি অংশটি কোমরের চারপাশে ঘুরিয়ে নিন।
  • আঁচলটি পেছন থেকে এনে বাঁ হাতে ফেলে দিন।
  • আঁচলের দৈর্ঘ্য এমনভাবে রাখুন যাতে এটি হাঁটু পর্যন্ত ঝুলে থাকে।
ধাপ ৪: আঁচল ঠিক করা
  • আঁচলটি সুন্দরভাবে ভাঁজ করে বাঁ হাতে ধরে রাখুন বা পিন দিয়ে আটকে দিন।
  • চাইলে আঁচলের প্রান্তটি সুন্দরভাবে সাজিয়ে নিতে পারেন।
ধাপ ৫: সম্পূর্ণ লুক ঠিক করা
  • সবকিছু ঠিকঠাক করে নিন এবং আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখুন।
  • আপনার লুক সম্পূর্ণ করতে মানানসই গয়না ও চুলের সাজ বেছে নিন।
আটপৌরে স্টাইলের বিশেষত্ব
  1. ঐতিহ্যবাহী লুক: আটপৌরে স্টাইলে শাড়ি পরলে নারীর ঐতিহ্যবাহী সৌন্দর্য আরও ফুটে ওঠে।
  2. উৎসবমুখর পরিবেশ: এটি পূজা বা বিয়ের মতো অনুষ্ঠানের জন্য আদর্শ।
  3. আরামদায়ক: এই স্টাইলটি আরামদায়ক এবং সহজেই পরিধানযোগ্য।

আটপৌরে (বাঙালি) স্টাইল শাড়ি পরার একটি চিরন্তন পদ্ধতি, যা বাঙালি নারীদের ঐতিহ্যের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। সঠিক ধাপে এই স্টাইলে শাড়ি পরলে আপনি প্রতিটি উৎসবে নিজেকে অনন্য এবং আকর্ষণীয় রূপে উপস্থাপন করতে পারবেন।

৩. গুজরাটি বা রাজরানি স্টাইল: শাড়ি পরার ঐতিহ্যবাহী এবং গর্জিয়াস পদ্ধতি


গুজরাটি বা রাজরানি স্টাইল শাড়ি পরার একটি বিশেষ পদ্ধতি, যা ভারতের গুজরাট থেকে উদ্ভূত। এই স্টাইলটি ঐতিহ্যবাহী এবং রাজকীয় লুক প্রদান করে। এটি বিশেষত ব্যবসায়িক অনুষ্ঠান এবং উৎসবে নারীদের আকর্ষণীয় ও গর্জিয়াস লুক দিতে ব্যবহৃত হয়।
গুজরাটি স্টাইলে শাড়ি পরার ধাপগুলো

ধাপ ১: শাড়ির নিচের
  • প্রান্ত কোমরে গুঁজুন প্রথমে পেটিকোট বা আন্ডারস্কার্ট পরে নিন।
  • শাড়ির এক প্রান্ত কোমরের ডান পাশে গুঁজুন।
  • শাড়িটি কোমরের চারপাশে একবার ঘুরিয়ে নিন, যাতে এটি পুরোপুরি ঢেকে যায়।
ধাপ ২: প্লিট তৈরি করুন
  • সামনের অংশ থেকে প্রায় ৫-৭টি সমান প্লিট তৈরি করুন।
  • প্রতিটি প্লিটের প্রস্থ প্রায় ৪-৫ ইঞ্চি হওয়া উচিত।
  • প্লিটগুলো একসঙ্গে ধরে পেটিকোটের সামনে গুঁজুন।
ধাপ ৩: আঁচল পেছন থেকে সামনে আনুন
  • শাড়ির বাকি অংশটি কোমরের চারপাশ দিয়ে ঘুরিয়ে নিন।
  • আঁচলটি পেছন থেকে এনে ডান কাঁধে ফেলে দিন।
ধাপ ৪: আঁচল ঠিক করা
  • এবং কোমরে আটকানো
  • আঁচলটি ডান কাঁধ থেকে সামনের দিকে ঝুলিয়ে রাখুন।
  • আঁচলের বাকি অংশটি বাম কোমরে এনে পিন দিয়ে আটকে দিন, যাতে এটি সঠিকভাবে থাকে এবং চলাফেরায় অসুবিধা না হয়।
ধাপ ৫: সম্পূর্ণ লুক ঠিক করা
  • আঁচলটি সুন্দরভাবে ভাঁজ করে সাজিয়ে নিন।
  • আপনার লুক সম্পূর্ণ করতে মানানসই গয়না, বিশেষত বড় কানের দুল এবং চুড়ি পরুন।
গুজরাটি স্টাইলের বিশেষত্ব
  1. রাজকীয় লুক: এই স্টাইলটি আপনাকে একটি ঐতিহ্যবাহী ও রাজকীয় রূপ দেয়।
  2. উৎসবমুখর পরিবেশ: এটি উৎসব, বিয়ে বা ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানের জন্য আদর্শ।
  3. আরামদায়ক: আঁচলটি সঠিকভাবে আটকে রাখলে এটি আরামদায়ক এবং চলাফেরায় সুবিধাজনক।

গুজরাটি বা রাজরানি স্টাইল শাড়ি পরার একটি চিরন্তন এবং আকর্ষণীয় পদ্ধতি, যা নারীর সৌন্দর্যকে আরও ফুটিয়ে তোলে। সঠিক ধাপে এই স্টাইলে শাড়ি পরলে আপনি প্রতিটি অনুষ্ঠানে নিজেকে অনন্য এবং আকর্ষণীয় রূপে উপস্থাপন করতে পারবেন।

৪. মহারাষ্ট্রীয় কাস্তা স্টাইল: ঐতিহ্যের ছোঁয়ায় শাড়ি পরার ধুতি পদ্ধতি


মহারাষ্ট্রীয় কাস্তা স্টাইল শাড়ি পরার একটি বিশেষ ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতি, যা ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে উদ্ভূত। এই স্টাইলটি ধুতি পরার মতো করে শাড়ি ড্রেপ করার জন্য পরিচিত। এটি নারীদের আরামদায়ক চলাফেরা এবং একটি অনন্য লুক প্রদান করে। বিশেষত ঐতিহ্যবাহী নৃত্য এবং সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এই স্টাইলটি বেশ জনপ্রিয়।
মহারাষ্ট্রীয় কাস্তা স্টাইলে শাড়ি পরার ধাপগুলো

ধাপ ১: শাড়ির নিচের
  • প্রান্ত কোমরে গুঁজুন
  • প্রথমে পেটিকোট ছাড়া শাড়ি পরা শুরু করুন, কারণ এই স্টাইলে পেটিকোটের প্রয়োজন হয় না।
  • শাড়ির এক প্রান্ত কোমরের ডান পাশে গুঁজুন এবং এটি কোমরের চারপাশে একবার ঘুরিয়ে নিন।
ধাপ ২: প্লিট তৈরি করুন
  • সামনের অংশ থেকে প্রায় ৫-৭টি সমান প্লিট তৈরি করুন।
  • প্লিটগুলো একসঙ্গে ধরে সামনের দিকে টেনে নিন এবং এটি পায়ের মাঝখানে নিয়ে যান।
  • প্লিটগুলো পেছনে নিয়ে গিয়ে কোমরে গুঁজুন।
ধাপ ৩: পেছনের অংশ ঠিক করা
  • শাড়ির বাকি অংশটি পেছন থেকে সামনের দিকে নিয়ে আসুন।
  • এটি কোমরের বাম পাশে গুঁজুন, যাতে এটি ধুতির মতো দেখায়।
ধাপ ৪: আঁচল সাজানো
  • শাড়ির বাকি অংশটি সামনে এনে ডান কাঁধে ফেলে দিন।
  • আঁচলটি সুন্দরভাবে ভাঁজ করে কাঁধে আটকে দিন বা পিন ব্যবহার করুন।
ধাপ ৫: সম্পূর্ণ লুক ঠিক করা
  • সবকিছু ঠিকঠাক করে নিন এবং আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখুন।
  • আপনার লুক সম্পূর্ণ করতে মানানসই গয়না, বিশেষত নথ বা বড় নাকের দুল এবং চুড়ি ব্যবহার করুন।
মহারাষ্ট্রীয় কাস্তা স্টাইলের বিশেষত্ব
  1. আরামদায়ক চলাফেরা: ধুতি স্টাইলে ড্রেপ করার কারণে এটি আরামদায়ক এবং চলাফেরার জন্য সুবিধাজনক।
  2. ঐতিহ্যবাহী লুক: এটি মহারাষ্ট্রের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটায়।
  3. উপযুক্ততা: ঐতিহ্যবাহী নৃত্য, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সংস্কৃতিক পরিবেশে এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।


মহারাষ্ট্রীয় কাস্তা স্টাইল শাড়ি পরার একটি চিরন্তন এবং আকর্ষণীয় পদ্ধতি, যা নারীর সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্বকে আরও ফুটিয়ে তোলে। সঠিক ধাপে এই স্টাইলে শাড়ি পরলে আপনি প্রতিটি ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে নিজেকে অনন্য রূপে উপস্থাপন করতে পারবেন।

৫. তামিলিয়ান বা মাদিসার স্টাইল: শাড়ি পরার ঐতিহ্যবাহী এবং ধর্মীয় পদ্ধতি

তামিলিয়ান বা মাদিসার স্টাইল শাড়ি পরার একটি বিশেষ ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতি, যা ভারতের তামিলনাড়ু থেকে উদ্ভূত। এটি মূলত ৯ গজ লম্বা শাড়ি দিয়ে ড্রেপ করা হয় এবং ধুতি ও শাড়ির মিশ্রণে তৈরি এই স্টাইলটি অত্যন্ত অনন্য। বিশেষত ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং বিয়েতে এই স্টাইলটি ব্যবহৃত হয়, যা নারীদের একটি ঐতিহ্যবাহী এবং রাজকীয় লুক প্রদান করে।

তামিলিয়ান বা মাদিসার স্টাইলে শাড়ি পরার ধাপগুলো
ধাপ ১: শাড়ির নিচের অংশ
  • কোমরে গুঁজুন
  • একটি ৯ গজ লম্বা শাড়ি বেছে নিন।
  • শাড়ির এক প্রান্ত কোমরের ডান পাশে গুঁজুন এবং এটি কোমরের চারপাশে একবার ঘুরিয়ে নিন।
ধাপ ২: প্লিট তৈরি করুন
  • সামনের অংশ থেকে প্রায় ৫-৭টি সমান প্লিট তৈরি করুন।
  • প্লিটগুলো একসঙ্গে ধরে সামনের দিকে টেনে নিন এবং এটি পায়ের মাঝখানে নিয়ে যান।
  • প্লিটগুলো পেছনে নিয়ে গিয়ে কোমরে গুঁজুন, যাতে এটি ধুতির মতো দেখায়।
ধাপ ৩: পেছনের অংশ ঠিক করা
  • শাড়ির বাকি অংশটি পেছন থেকে সামনের দিকে এনে কোমরের বাম পাশে গুঁজুন।
  • এটি এমনভাবে সাজান যাতে পুরো শরীর সুন্দরভাবে ঢেকে যায়।
ধাপ ৪: আঁচল সাজানো
  • শাড়ির বাকি অংশটি সামনের দিক থেকে ঘুরিয়ে ডান কাঁধে ফেলে দিন।
  • আঁচলটি সুন্দরভাবে ভাঁজ করে কাঁধে আটকে দিন বা পিন ব্যবহার করুন।
ধাপ ৫: সম্পূর্ণ লুক ঠিক করা
  • সবকিছু ঠিকঠাক করে নিন এবং আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখুন।
  • আপনার লুক সম্পূর্ণ করতে মানানসই গয়না, বিশেষত সোনার চুড়ি, নথ এবং বড় কানের দুল ব্যবহার করুন।
তামিলিয়ান বা মাদিসার স্টাইলের বিশেষত্ব
  1. ঐতিহ্যবাহী রূপ: এই স্টাইলটি তামিল সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটায়।
  2. উপযুক্ততা: ধর্মীয় অনুষ্ঠান, পূজা এবং বিয়ের জন্য আদর্শ।
  3. আরামদায়ক চলাফেরা: ধুতি ও শাড়ির মিশ্রণে তৈরি এই স্টাইলটি আরামদায়ক এবং চলাফেরায় সুবিধাজনক।

তামিলিয়ান বা মাদিসার স্টাইল শাড়ি পরার একটি চিরন্তন এবং আকর্ষণীয় পদ্ধতি, যা নারীর সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্বকে আরও ফুটিয়ে তোলে। সঠিক ধাপে এই স্টাইলে শাড়ি পরলে আপনি প্রতিটি ধর্মীয় বা ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে নিজেকে অনন্য রূপে উপস্থাপন করতে পারবেন।

৬.বাটারফ্লাই স্টাইল: আধুনিক শাড়ি পরার আকর্ষণীয় পদ্ধতি

বাটারফ্লাই স্টাইল শাড়ি পরার একটি আধুনিক এবং আকর্ষণীয় পদ্ধতি, যা ভারতে উদ্ভূত হয়েছে। এটি মূলত নিভি স্টাইলের মতো, তবে এতে আঁচলটি সরু করে পেটের অংশ খোলা রাখা হয়। এই স্টাইলটি নারীদের একটি গ্ল্যামারাস এবং আকর্ষণীয় লুক দেয়, যা পার্টি এবং সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য একেবারে আদর্শ।

বাটারফ্লাই স্টাইলে শাড়ি পরার ধাপগুলো
ধাপ ১: শাড়ির নিচের
  • প্রান্ত কোমরে গুঁজুন
  • প্রথমে পেটিকোট বা আন্ডারস্কার্ট পরে নিন।
  • শাড়ির এক প্রান্ত কোমরের ডান পাশে গুঁজুন।
  • শাড়িটি কোমরের চারপাশে একবার ঘুরিয়ে নিন, যাতে এটি পুরোপুরি ঢেকে যায়।
ধাপ ২: প্লিট তৈরি করুন
  • সামনের অংশ থেকে প্রায় ৫-৭টি সমান প্লিট তৈরি করুন।
  • প্লিটগুলো একসঙ্গে ধরে পেটিকোটের সামনে গুঁজুন।
ধাপ ৩: আঁচল সরু করে সাজানো
  • শাড়ির বাকি অংশটি কোমরের চারপাশ দিয়ে ঘুরিয়ে নিন।
  • আঁচলটি ডান কাঁধে ফেলে দিন এবং এটি সরু ও হালকা ভাঁজ করুন।
  • আঁচলের প্রান্তটি এমনভাবে সাজান যাতে পেটের অংশ খোলা থাকে এবং এটি একটি বাটারফ্লাই আকৃতি তৈরি করে।
ধাপ ৪: আঁচল ঠিক করা
  • আঁচলটি কাঁধে পিন দিয়ে আটকে দিন, যাতে এটি সঠিকভাবে থাকে এবং চলাফেরায় অসুবিধা না হয়।
  • চাইলে আঁচলের প্রান্তটি সুন্দরভাবে ভাঁজ করে আরও আকর্ষণীয় লুক দিতে পারেন।
ধাপ ৫: সম্পূর্ণ লুক ঠিক করা
  • সবকিছু ঠিকঠাক করে নিন এবং আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখুন।
  • আপনার লুক সম্পূর্ণ করতে মানানসই গয়না, বিশেষত ঝুমকা বা বড় কানের দুল এবং ব্রেসলেট ব্যবহার করুন।
বাটারফ্লাই স্টাইলের বিশেষত্ব
  1. গ্ল্যামারাস লুক: এই স্টাইলটি নারীদের একটি আধুনিক এবং আকর্ষণীয় রূপ দেয়।
  2. উপযুক্ততা: পার্টি, সামাজিক অনুষ্ঠান এবং ফ্যাশন শো-এর জন্য আদর্শ।
  3. আরামদায়ক: আঁচল সরু করে পরার কারণে এটি হালকা এবং আরামদায়ক অনুভূতি দেয়।

বাটারফ্লাই স্টাইল শাড়ি পরার একটি আধুনিক এবং আকর্ষণীয় পদ্ধতি, যা নারীর সৌন্দর্যকে আরও ফুটিয়ে তোলে। সঠিক ধাপে এই স্টাইলে শাড়ি পরলে আপনি প্রতিটি পার্টি বা সামাজিক অনুষ্ঠানে নজর কাড়তে পারবেন এবং নিজেকে আরও আত্মবিশ্বাসী মনে করবেন।

৭. মারমেইড স্টাইল: শাড়ি পরার আধুনিক এবং গ্ল্যামারাস পদ্ধতি

মারমেইড স্টাইল শাড়ি পরার একটি আধুনিক ফিউশন পদ্ধতি, যা নারীদের একটি আকর্ষণীয় এবং মৎস্যকন্যার মতো লুক প্রদান করে। এই স্টাইলটি বিশেষত গ্ল্যামারাস অনুষ্ঠান, যেমন পার্টি বা রেড কার্পেট ইভেন্টের জন্য আদর্শ। এটি শরীরের সঙ্গে আটসাঁট করে ড্রেপ করা হয়, যা নারীর আকৃতিকে আরও ফুটিয়ে তোলে এবং নজর কাড়ে।

মারমেইড স্টাইলে শাড়ি পরার ধাপগুলো
ধাপ ১: শাড়ির নিচের
  • প্রান্ত কোমরে গুঁজুন
  • প্রথমে পেটিকোট বা আন্ডারস্কার্ট পরে নিন।
  • শাড়ির এক প্রান্ত কোমরের ডান পাশে গুঁজুন।
  • শাড়িটি কোমরের চারপাশে একবার ঘুরিয়ে নিন, যাতে এটি পুরোপুরি ঢেকে যায়।
ধাপ ২: প্লিট তৈরি করুন
  • সামনের অংশ থেকে প্রায় ৫-৭টি সমান প্লিট তৈরি করুন।
  • প্রতিটি প্লিটের প্রস্থ ছোট রাখুন, যাতে এটি শরীরের সঙ্গে আটসাঁট থাকে।
  • প্লিটগুলো একসঙ্গে ধরে পেটিকোটের সামনে গুঁজুন।
ধাপ ৩: আঁচল সরু করে সাজানো
  • শাড়ির বাকি অংশটি কোমরের চারপাশ দিয়ে ঘুরিয়ে নিন।
  • আঁচলটি ডান কাঁধে ফেলে দিন এবং এটি সরু ও হালকা ভাঁজ করুন।
  • আঁচলের প্রান্তটি এমনভাবে সাজান যাতে এটি শরীরের আকৃতি আরও ফুটিয়ে তোলে।
ধাপ ৪: আঁচল ঠিক করা এবং আটসাঁট লুক তৈরি করা
  • আঁচলটি কাঁধে পিন দিয়ে আটকে দিন, যাতে এটি সঠিকভাবে থাকে এবং চলাফেরায় অসুবিধা না হয়।
  • পুরো শাড়িটি এমনভাবে ড্রেপ করুন যাতে এটি মৎস্যকন্যার মতো আকৃতি দেয়।
ধাপ ৫: সম্পূর্ণ লুক ঠিক করা
  • সবকিছু ঠিকঠাক করে নিন এবং আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখুন।
  • আপনার লুক সম্পূর্ণ করতে মানানসই গয়না, বিশেষত ঝুমকা বা বড় কানের দুল এবং হাই হিল ব্যবহার করুন।
মারমেইড স্টাইলের বিশেষত্ব
  1. আকর্ষণীয় লুক: এই স্টাইলটি নারীদের একটি আধুনিক এবং আকর্ষণীয় রূপ দেয়।
  2. উপযুক্ততা: গ্ল্যামারাস অনুষ্ঠান, পার্টি বা ফ্যাশন ইভেন্টের জন্য আদর্শ।
  3. শরীরের আকৃতি ফুটিয়ে তোলা: আটসাঁট ড্রেপ করার কারণে এটি নারীর আকৃতিকে আরও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে।

মারমেইড স্টাইল শাড়ি পরার একটি আধুনিক এবং আকর্ষণীয় পদ্ধতি, যা নারীদের গ্ল্যামারাস রূপে উপস্থাপন করে। সঠিক ধাপে এই স্টাইলে শাড়ি পরলে আপনি প্রতিটি অনুষ্ঠানে নজর কাড়তে পারবেন এবং নিজেকে আরও আত্মবিশ্বাসী মনে করবেন।

মেহজীন ব্র্যান্ডের শাড়ি: আপনার স্টাইলের সেরা সঙ্গী

শাড়ি বাঙালি নারীর ঐতিহ্যের এক অনন্য পরিচায়ক। এটি পরার মাধ্যমে একজন নারীর সৌন্দর্য এবং ব্যক্তিত্ব আরও ফুটে ওঠে। মেহজীন ব্র্যান্ড, শাড়ি প্রস্তুতকারী হিসেবে, এই ঐতিহ্যকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। তাদের শাড়ি শুধুমাত্র মানসম্মত নয়, বরং এটি আপনার লুককে আরও স্টাইলিশ এবং আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে সক্ষম। মেহজীন ব্র্যান্ডের হাফ সিল্ক, মিক্সড কটন, তসর,মিক্স সুতি শাড়ি, এবং মসলিন শাড়ি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আপনাকে দেবে অনন্য এক অভিজ্ঞতা।

শাড়ি পরার বিভিন্ন স্টাইল এবং মেহজীন ব্র্যান্ডের শাড়ি

১. নিভি স্টাইল

নিভি স্টাইল শাড়ি পরার একটি ক্লাসিক পদ্ধতি, যা যেকোনো উৎসব বা অফিসিয়াল অনুষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত।

  • হাফ সিল্ক শাড়ি: নিভি স্টাইলে হাফ সিল্ক শাড়ি দারুণ মানানসই। এটি আপনার লুককে গর্জিয়াস করে তুলবে।
  • মিক্সড কটন শাড়ি: দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য নিভি স্টাইলে মিক্সড কটন শাড়ি আরামদায়ক এবং ফ্যাশনেবল।
  • তসর শাড়ি: বিশেষ অনুষ্ঠানে নিভি স্টাইলে তসর শাড়ি আপনাকে আভিজাত্যপূর্ণ লুক দেবে।
  • মসলিন শাড়ি: গরমের দিনে মসলিন শাড়ি নিভি স্টাইলে আরামদায়ক ও স্নিগ্ধ লুক প্রদান করে।
  • মিক্স সুতি শাড়ি: সহজ এবং আরামদায়ক লুকের জন্য নিভি স্টাইলে মিক্স সুতি শাড়ি আদর্শ।
২. বাঙালি আটপৌরে স্টাইল

বাঙালি আটপৌরে স্টাইল ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িত, যা পূজা বা বিয়ের অনুষ্ঠানে সবচেয়ে জনপ্রিয়।

  • হাফ সিল্ক শাড়ি: আটপৌরে স্টাইলে হাফ সিল্ক শাড়ি আপনাকে ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক লুক দেবে।
  • মিক্সড কটন শাড়ি: আটপৌরে স্টাইলে মিক্সড কটন শাড়ি হালকা এবং আরামদায়ক।
  • তসর শাড়ি: বিয়ে বা বড় অনুষ্ঠানে আটপৌরে স্টাইলে তসর শাড়ির রাজকীয়তা নজর কাড়ে।
  • মসলিন শাড়ি: আটপৌরে স্টাইলে মসলিন শাড়ির সূক্ষ্মতা আপনাকে আরও মার্জিত করে তুলবে।
  • মিক্স সুতি শাড়ি: আটপৌরে স্টাইলে মিক্স সুতি শাড়ির হালকা রঙ আপনাকে কোমল লুক দেবে।
৩. গুজরাটি বা রাজরানি স্টাইল

গুজরাটি বা রাজরানি স্টাইল পার্টি বা উৎসবের জন্য আদর্শ।

  • হাফ সিল্ক শাড়ি: গুজরাটি স্টাইলে হাফ সিল্ক শাড়ির ঝলমলে রঙ আপনাকে আকর্ষণীয় লুক দেবে।
  • মিক্সড কটন শাড়ি: গুজরাটি স্টাইলে মিক্সড কটন শাড়ির হালকা কাপড় আরামদায়ক হবে।
  • তসর শাড়ি: গুজরাটি স্টাইলে তসর শাড়ির গাঢ় রঙ আপনাকে আভিজাত্যপূর্ণ দেখাবে।
  • মসলিন শাড়ি: গুজরাটি স্টাইলে মসলিন শাড়ির সূক্ষ্মতা আপনাকে নান্দনিক লুক দেবে।
  • মিক্স সুতি শাড়ি: গুজরাটি স্টাইলে মিক্স সুতি শাড়ির হালকা ডিজাইন আপনাকে সহজ এবং মার্জিত দেখাবে।
৪. মহারাষ্ট্রীয় কাস্তা স্টাইল

মহারাষ্ট্রীয় কাস্তা স্টাইল ধুতি এবং শাড়ির মিশ্রণ, যা ঐতিহ্যবাহী নৃত্যে ব্যবহৃত হয়।

  • হাফ সিল্ক শাড়ি: কাস্তা স্টাইলে হাফ সিল্ক আপনার লুককে উজ্জ্বল করবে।
  • মিক্সড কটন শাড়ি: কাস্তা স্টাইলে মিক্সড কটনের আরামদায়ক ফ্যাব্রিক চলাচলের জন্য উপযোগী।
  • তসর শাড়ি: কাস্তা স্টাইলে তসর আপনার ঐতিহ্যবাহী লুককে আরও সমৃদ্ধ করবে।
  • মসলিন শাড়ি: কাস্তা স্টাইলে মসলিন আপনার লুকে সূক্ষ্মতা যোগ করবে।
৫. তামিলিয়ান বা মাদিসার স্টাইল

এই ৯ গজের ড্রেপিং পদ্ধতি ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও বিয়েতে জনপ্রিয়।

  • হাফ সিল্ক শাড়ি: তামিলিয়ান স্টাইলে হাফ সিল্কের ঝলমলে রঙ আপনাকে উজ্জ্বল দেখাবে।
  • মিক্সড কটন শাড়ি: তামিলিয়ান ড্রেপিংয়ে মিক্সড কটনের আরাম আপনাকে স্বস্তিদায়ক অনুভূতি দেবে।
  • তসর শাড়ি: তামিলিয়ান ড্রেপিংয়ে তসর আপনার রাজকীয় লুককে ফুটিয়ে তুলবে।
৬. বাটারফ্লাই স্টাইল

এই আধুনিক পদ্ধতিতে আঁচল সরু করে পেট খোলা রাখা হয়, যা পার্টিতে জনপ্রিয়।

  • হাফ সিল্ক শাড়ি: বাটারফ্লাই স্টাইলে হাফ সিল্কের ঝলক নজর কাড়ে।
  • মিক্সড কটন শাড়ি: বাটারফ্লাই ড্রেপিংয়ে মিক্সড কটনের হালকা কাপড় আরামদায়ক হবে।
৭. মারমেইড স্টাইল

আধুনিক ফিউশন পদ্ধতি, যা শরীরকে আটসাঁট করে ড্রেপ করা হয় এবং পার্টিতে নজর কাড়ে।

  • হাফ সিল্ক শাড়ি: মারমেইড ড্রেপিংয়ে হাফ সিল্ক আপনার আকৃতিকে ফুটিয়ে তোলে।

“শাড়িতে নারী”—এই প্রবাদটি সত্যিই নারীর ঐতিহ্যের প্রতীক, যা তার সৌন্দর্যকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে। মেহজীন ব্র্যান্ডের হাফ সিল্ক, মিক্সড কটন, তসর, এবং মসলিন শাড়িগুলো প্রতিটি অনুষ্ঠানে আপনার সেরা সঙ্গী হতে পারে।
আজই মেহজীন ব্র্যান্ডের একটি সুন্দর শাড়ি বেছে নিন এবং নিজের সৌন্দর্যে নতুন মাত্রা যোগ করুন!

m.me/mehzin.retail

অথবা, সরাসরি আমাদের আউটলেট থেকে পার্চেজ করুন।

আউটলেট লোকেশনঃ এফ এস স্কয়ার, লেভেল-৩, শপ নাম্বার
৪২৮-৪২৯, মিরপুর ১০ গোলচত্তর মেট্রোরেল স্টেশনের সাথে, মিরপুর ১০, ঢাকা।