জামদানি Jamdani Saree উপায়:


জামদানি শাড়ি চেনার আগে আমাদের জানতে হবে জামদানি ইতিহাস সম্পর্খে।

জামদানি হল কার্পাস তুলা দিয়ে প্রস্তুত করা একধরনের পরিধেয় বস্ত্র। জামদানি বুননকালে তৃতীয় একটি সুতা দিয়ে নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়। মসলিন বয়নে যেমন ন্যূনপক্ষে ৩০০ কাউন্টের সুতা ব্যবহার করা হয়,তেমনি জামদানি বয়নে সাধারণত ২৬-৮০-৮৪ কাউন্টের সূতা ব্যবহার করা হয়। হালে জামদানী নানা স্থানে তৈরী করা হয় কিন্তু ঢাকাকেই জামদানির আদি জন্মস্থান বলা হয়।

Jamdani Saree
Jamdani Saree



জামদানি শাড়ি কি?

অনেকের ধারনা জামদানি ফার্সি শব্দ থেকে এসেছে। কার্পাস তুলা দিয়ে এ শাড়ি তৈরি করা হয়, তাই একে জামদানি শাড়ি বলা হয়। এ শাড়ির অন্যতম বৈশিষ্ট হচ্ছে এটা বয়নে ৭০ থেকে ৮০ কাউন্টের সুতা ব্যবহার করা হয়।



২০১৬ সালে জামদানিকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো। ঐতিহ্যবাহী নকশা ও বুননের কারণে বাংলাদেশ কে এ স্বীকৃতি টা দেয়া হয়েছে।


অনেক বিক্রেতা আছে তারা জামদানি বলে টাঙ্গাইলের তাঁত, ভারতীয় কটন, পাবনা ও রাজশাহীর সিল্ক শাড়ি ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। আজকাল এরকম অনেক মার্কেট রয়েছে জামদানির নামে বিক্রি হচ্ছে নকল শাড়ি, যার ফলে ঐতিহ্যবাহী জামদানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ক্রেতারা। কিন্তু প্রণয়িনীতে পাবেন আসল ঢাকাইয়ের আসল জামদানি


সে জন্য আমাদের জামদানি শাড়ি কিনার আগে আসল জামদানি শাড়ি চিনতে হবে।

আসল জামদানি শাড়ি চিনার উপায়- 

  • জামদানি শাড়ি কেনার আগে আপনি অবশ্যই তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে কিনবেন – শাড়ির দাম, সূতার মান এবং শাড়ির কাজের সূক্ষ্মতা।
  • একটি জামদানি শাড়ি তৈরি করতে দুইজন কারিগর যদি প্রতিদিন ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা শ্রম দেন, তাহলে ডিজাইন ভেদে পুরো শাড়ি তৈরি করতে সাত দিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
  • জামদানি শাড়ি চেনার আরেকটি উপায় হচ্ছে এর সুতা ও মসৃণতা যাচাই করা। জামদানি শাড়ি বয়নে সুতি ও সিল্ক সুতা (সাধারণত ২৬-৮০-৮৪ কাউন্টের) ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 
  • জামদানি শাড়ি যেহেতু হাতে বোনানো হয়, সুতরাং এই শাড়ির ডিজাইন হয় খুব সূক্ষ্ম এবং নিখুঁত। ডিজাইনগুলো হয় খুব মসৃণ।
  • কারিগর প্রতিটি সুতা এত নিখুত ভাবে হাত দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বুনন করেন। যার কারনে সুতার কোনো অংশ বের হয়ে থাকে না। সে জন্য জামদানি শাড়ির কোনটা সামনের অংশ আর কোনটা পিছনের অংশ, তা বুঝা যায় না পার্থক্য করা বেশ কঠিন।
     
  • জামদানি শাড়ির আঁচলের শেষ প্রান্তের সুতাগুলো আঙ্গুল দিয়ে মোড়ানোর পর যদি সুতাগুলো জড়িয়ে যায়, তবে বুঝবেন সেটা সিল্ক সুতা দিয়ে তৈরি আর যদি সুতাগুলো যে কোনো অবস্থায় সমান থাকে, তবে বুঝবেন তা নাইলন সুতে দিয়ে তৈরি।
  • কাউন্ট দিয়ে সুতার মান বোঝানো হয় জামদানি শাড়ির। যে সুতার কাউন্ট যত বেশি, সেই সুতা তত চিকন এবং অই সুতার শাড়ি ততই ভালো। সুতা যত চিকন হবে, কাজ ততই সূক্ষ্ম হবে। যা হচ্ছে একটি ভালো মানের জামদানি শাড়ির প্রধান বৈশিষ্ট্য।
  • জামদানি শাড়িতে যে অংশটুকু কোমরে গুঁজা হয়, ওই অংশটায় কোনো পাড় বোনা থাকে না ( ওই অংশ সাড়ে পাঁচ হাত পর্যন্ত হয় )। কিন্তু মেশিনে বোনা শাড়ির ক্ষেত্রে অন্যরকম, শাড়ির নিচের পুরো অংশজুড়েই পাড় থাকে।
  • জামদানির ডিজাইন নকল করা, মেশিনে বোনা শাড়ি কৃত্রিম সুতায় তৈরি হয় বলে এই শাড়িগুলো খুব ভারি এবং খসখসে হয়।
  • সাধারণত শাড়ি তৈরি করার সময়, সুতার মান ও কাজের সূক্ষ্মতা বিবেচনা করে তৈরি করা হয়। এসব একটি জামদানি শাড়ির দাম হতে পারে ৩,০০০ টাকা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা কিংবা তার চেয়েও বেশি।

 

জামদানি শাড়ির প্রকারভেদ-

১. হালফ সিল্ক জামদানিঃ হালফ সিল্ক জামদানি শাড়িতে সাধারনত দুই ধরনের সুতা থাকে। একটি হচ্ছে লম্বালম্বি, আরেকটি হচ্ছে আড়াআড়ি। লম্বালম্বি সুতে গুলি হচ্ছে তুলার এবং আড়াআড়ি তুলা গুলি হচ্ছে রেশমি সুতার। 

২. ফুল সিল্ক জামদানিঃ ফুল সিল্ক জামদানি শাড়িগুলোর  দুই দিকের সুতা গুলি রেশমি হয়ে থাকে।

৩. ফুল কটন জামদানিঃ ফুল কটন জামদানি শাড়ি তৈরি করা হয়ে থাকে সম্পূর্ণ সুতা এবং তুলা দিয়ে।


এই ছিলো আজকের জামদানি শাড়ি চিনার উপায়। আজকাল বাজারে আসল জামদানি বলে নকল জামদানি বিক্রি করছে। কিন্তু আপনারা প্রণয়িনীতে পাবেন খুব সুন্দর সুন্দর আসল ঢাকাই জামদানি শাড়ী। এখান থেকে আপনি শাড়ি নিলে ঠোকার কোন সম্ভাবনা নেই। ফলে আপনারা ঐতিহ্যবাহী আসল জামদানি থেকে বঞ্চিত হবেন না।

আপনি কি আপনার ফেসবুক পেজের পোষ্টকে টার্গেটেট বুস্ট করাতে চান!
 বা ওয়েবসাইটে SEO করাতে চান! তাহলে এখনি Shopno Career It এর সাথা যোগাযোগ করুন।

অথবা আপনি তাদের Facebook Messenger এ ও মেসেজ দিতে চাইলে এখানে Click করুন।