গরমকাল এলেই আমাদের মনে পড়ে যায় কাঁচা আম, তালশাঁস, আর বিকেলের ঠাণ্ডা বাতাস। কিন্তু গরমের আরেকটা বড় সমস্যা হচ্ছে কাপড়চোপড়। এই গরমে কী পরলে আরাম পাবো, আবার সুন্দরও দেখাবো—এই চিন্তা অনেকেরই। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য শাড়ি বাছাই করা তো একেবারে যুদ্ধের মতো! তবে চিন্তা নেই, কারণ মেহজিন শাড়ি নিয়ে এসেছে সামার স্পেশাল কালেকশন, যা গরমে দিবে আরাম, আর স্টাইলে আনবে নতুনত্ব।
গরমকাল এলেই মাথায় প্রথম যে চিন্তাটা আসে, সেটা হলো—কি পরবো? আমি শাড়ি খুব পছন্দ করি, কিন্তু গরমে ভারী শাড়ি পরতে একদম ভালো লাগে না। ঘাম, অস্বস্তি, আর সারাদিন অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যাই। তাই গত বছর ঠিক করলাম, এবার গরমে হালকা আর আরামদায়ক শাড়ি পরবো। তখনই ফেসবুকে চোখে পড়লো মেহজিন শাড়ির সামার স্পেশাল কালেকশন।
প্রথমে ভাবলাম, অনলাইনে শাড়ি কিনব? মান কেমন হবে, ছবি আর বাস্তবে এক হবে তো? কিন্তু মেহজিনের পেইজে রিভিউগুলো পড়ে সাহস পেলাম।
অর্ডার করলাম “নিধি” নামের একটা পিওর কটন শাড়ি।
দুই দিন পর হাতে পেলাম শাড়িটা। খুলে দেখি, একদম পছন্দের রঙ—হালকা নীল, নরম কাপড়, আর ডিজাইনটাও খুব সুন্দর।
পরদিন অফিসে পরে গেলাম। সবাই দেখে অবাক—”নতুন শাড়ি?”
আমি হাসলাম, বললাম, “হ্যাঁ, মেহজিন থেকে নিয়েছি।”
সারাদিন অফিসে ছিলাম, কিন্তু একবারও অস্বস্তি লাগেনি। কাপড়টা এত হালকা, যেন শরীরের সাথে মিশে গেছে।
বাড়ি ফিরে মনে হলো, এই শাড়ি না কিনলে গরমকালে কত বড় ভুল করতাম!
এরপর থেকে মেহজিন গরমের সঙ্গী।
আরও কয়েকটা শাড়ি কিনেছি—কোয়েল, মহোনিকা, রূপা।
প্রতিটা শাড়িতেই নতুনত্ব আছে, আরাম আছে, আর আছে নিজের একটা স্টাইল।
আমরা সবাই জানি, গরমে ভারী বা সিনথেটিক কাপড় পরা মানে নিজেকে কষ্ট দেওয়া। ঘামে ভিজে যায়, চুলকায়, আর সারাদিন অস্বস্তি লাগে। কিন্তু মেহজিনের সামার কালেকশনের শাড়িগুলো বানানো হয়েছে প্রিমিয়াম কটন, মিক্স কটন আর পিওর কটন দিয়ে। এই কাপড়গুলো খুবই হালকা, আরামদায়ক, আর শরীরের সাথে মিশে যায়। গরমে অনেকক্ষণ পরে থাকলেও অস্বস্তি লাগে না।
আরেকটা বিশেষ বিষয় হচ্ছে, মেহজিনের শাড়িগুলোর ডিজাইন। আমাদের দেশের ঐতিহ্যকে ধরে রেখে, আধুনিকতার ছোঁয়ায় তৈরি করা হয়েছে প্রতিটি শাড়ি। ফলে, আপনি চাইলেই এই শাড়িগুলো পরে অফিস, পার্টি, বাসা কিংবা ছোটখাটো অনুষ্ঠানে যেতে পারবেন। সবখানেই মানিয়ে যাবে।
চলুন, দেখে নেই এই গরমে মেহজিনের কোন কোন শাড়ি বেশি জনপ্রিয়:
এই কালেকশনের প্রতিটি শাড়িতেই আছে স্পেশাল ডিসকাউন্ট। ১০% থেকে শুরু করে ৩০% পর্যন্ত ছাড়! সাথে আছে ফ্রি ডেলিভারি। মানে, আপনি ঘরে বসেই অর্ডার করলে, কোনো বাড়তি খরচ ছাড়াই শাড়ি চলে আসবে আপনার হাতে।
মেহজিন শুধু একটা শাড়ির ব্র্যান্ড না, এটা একটা অনুভূতি। আমাদের দেশের মেয়েরা ছোটবেলা থেকেই মায়ের শাড়ি পরে আয়নায় দাঁড়িয়ে কল্পনা করে, একদিন তারও হবে নিজের শাড়ি। সেই স্বপ্নকে বাস্তব করতে মেহজিন কাজ করছে। প্রতিটি শাড়ি হাতে তৈরি, ডিজাইনে আছে দেশীয় ঐতিহ্যের ছোঁয়া। কাপড়ের মান, রঙের বাহার, আর ডিজাইনের বৈচিত্র্য—সবকিছুতেই মেহজিন আলাদা।
আরেকটা বড় সুবিধা হচ্ছে, মেহজিনের শাড়িগুলো খুব সহজে ধোয়া যায়, রঙ যায় না, আর আয়রন করতেও ঝামেলা নেই। তাই গরমে ঘন ঘন ধোয়ার দরকার হলেও, শাড়ি নষ্ট হবে না।
অনেকেই ভাবে, গরমে শাড়ি পরা খুব কষ্টকর। কিন্তু কয়েকটা সহজ টিপস মানলে, শাড়িতেও আরাম পাওয়া যায়।
আমি প্রথম মেহজিনের শাড়ি কিনেছিলাম গত বছর। গরমকাল ছিল, আর অফিসে একটা ছোট্ট অনুষ্ঠান ছিল। কী পরবো বুঝতে পারছিলাম না। তখনই ফেসবুকে মেহজিনের পেইজে চোখ পড়লো। ছবি দেখে ভালো লাগলো, দামও ঠিকঠাক। অর্ডার করলাম “নিধি” শাড়িটা। হাতে পেয়েই অবাক! এত সুন্দর আর আরামদায়ক শাড়ি আমি আগে কখনো পরিনি। অফিসে সবাই প্রশংসা করলো। এরপর থেকে গরমে শাড়ি মানেই মেহজিন।
১. ফেসবুক পেইজে বা ওয়েবসাইটে ঢুকে পছন্দের শাড়ি বাছুন।
২. অর্ডার বাটনে ক্লিক করুন।
৩. নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর দিন।
৪. অর্ডার কনফার্ম করুন।
৫. ২-৩ দিনের মধ্যেই শাড়ি চলে আসবে আপনার ঠিকানায়।
গরমে আরাম, স্টাইলে বাহার—এই দুটো একসাথে চাইলে মেহজিন শাড়ির কোনো তুলনা নেই। অফিস, বাসা, পার্টি, যেকোনো জায়গায় মানিয়ে যায়। দামেও সাশ্রয়ী, মানেও সেরা। তাই দেরি না করে আজই অর্ডার করুন মেহজিন সামার স্পেশাল শাড়ি, আর গরমকালকে করুন আরও রঙিন, আরও আরামদায়ক।
মেহজিন—শাড়ির গল্প, নারীর গর্ব।
আপনার মতামত বা অভিজ্ঞতা থাকলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না!
শুভ গরমকাল, শুভ শাড়ি পরা! 🌸