রাজশাহী—এক শহর, যার বাতাসেই মিশে আছে ইতিহাস, ঐতিহ্য আর শিল্পের গন্ধ। পদ্মার পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা এই প্রাচীন শহর আজও তার গৌরবময় অতীতের সাক্ষী। আর সেই শহরের বুকেই এবার শুরু হলো এক নতুন অধ্যায়—মেহজিনের নতুন ব্রাঞ্চের নাটকীয় উন্মোচন। রাজশাহীর ফ্যাশনপ্রেমী নারীদের জন্য যেন এ এক স্বপ্নের দুয়ার খুলে গেলো!
শাড়ি—বাংলাদেশি নারীর আত্মপরিচয়ের প্রতীক। আর মেহজিন সেই শাড়িকে নিয়ে এসেছে এক নতুন উচ্চতায়। দেশের #১ শাড়ি ব্র্যান্ড হিসেবে মেহজিন শুধু ফ্যাশন নয়, বরং নারীর আত্মবিশ্বাসেরও প্রতীক1। তাদের প্রতিটি শাড়ি যেন একেকটি গল্প বলে—মাধুরায়, জামদানি, কাতান, সিল্ক কিংবা আধুনিক ডিজাইনের শাড়ি—সবই মেলে মেহজিনে।
মেহজিনের বিশেষত্ব কী?
রাজশাহী বরাবরই ছিলো শিল্প, সাহিত্য আর ফ্যাশনের শহর। এখানকার নারীরা ঐতিহ্যবাহী পোশাকের প্রতি যেমন অনুরাগী, তেমনি আধুনিক ফ্যাশনেও সমান পারদর্শী। মেহজিনের নতুন ব্রাঞ্চ তাই শুধু একটি দোকান নয়, বরং রাজশাহীর ফ্যাশন সংস্কৃতিতে এক নতুন বিপ্লবের নাম।
এই ব্রাঞ্চে থাকছে—
মেহজিনের রাজশাহী ব্রাঞ্চে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে মাধুরায় শাড়ি। এই শাড়ির বিশেষত্ব—
রাজশাহীর নারীরা মাধুরায় শাড়ির প্রতি বরাবরই দুর্বল। এবার মেহজিন সেই চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এনেছে এক্সক্লুসিভ মাধুরায় কালেকশন। কেউ বলছেন, “এত সুন্দর ডিজাইন আগে কখনো দেখিনি!” কেউ আবার বলছেন, “এবার ঈদে বা বিয়েতে মেহজিনের শাড়ি ছাড়া কিছুই পরবো না।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের খ্যাতনামা ফ্যাশন ডিজাইনাররা। তাদের কেউ কেউ লাইভে শাড়ির ডিজাইন বোঝাচ্ছেন, কেউবা রাজশাহীর ঐতিহ্য নিয়ে কথা বলছেন। ডিজাইনারদের মতে, “রাজশাহীর নারীদের জন্য আমরা এনেছি এমন কিছু ডিজাইন, যা তাদের ব্যক্তিত্বকে আরো উজ্জ্বল করবে।”
উদ্বোধনের দিনেই বিক্রি হয়েছে শত শত শাড়ি। কেউ কেউ বলছেন, “অনলাইনে অর্ডার করতাম, কিন্তু এখানে এসে নিজের হাতে দেখে কিনতে পারার আনন্দই আলাদা।”
একজন সিনিয়র গ্রাহক বললেন, “মেহজিনের শাড়ি মানেই আত্মবিশ্বাস। এবার রাজশাহীতেই পেয়ে গেলাম!”
উদ্বোধনের দিন থেকেই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটকে চলছে #MehzinRajshahi হ্যাশট্যাগের ঝড়।
রাজশাহীর তরুণীরা বলছেন, “মেহজিন মানেই ট্রেন্ড, মানেই স্টাইল!” সোশ্যাল মিডিয়ার এই উন্মাদনাই প্রমাণ করে, রাজশাহীর ফ্যাশন মানচিত্রে মেহজিনের নতুন ব্রাঞ্চ এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।
উদ্বোধনী সপ্তাহে মেহজিন এনেছে নাটকীয় সব অফার—
মেহজিন শুধু ব্যবসা নয়, বরং নারীর ক্ষমতায়ন ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। রাজশাহীর নতুন ব্রাঞ্চের মাধ্যমে তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে—
বিকেলের শেষ আলোয় রাজশাহীর আকাশে উড়ছে রঙিন বেলুন, বাজছে ব্যান্ড পারফরম্যান্স, আর চারপাশে শুধু একটাই কথা—“মেহজিন এসেছে, রাজশাহী বদলেছে!”
শহরের প্রতিটি কোণায় এখন মেহজিনের শাড়ির গল্প, নারীদের মুখে হাসি, আর ফ্যাশনপ্রেমীদের চোখে নতুন স্বপ্ন।
মেহজিনের রাজশাহীর নতুন ব্রাঞ্চ শুধু একটি দোকান নয়, বরং রাজশাহীর ফ্যাশন ইতিহাসে এক নাটকীয় বিপ্লব।
এখানে মিশে আছে ঐতিহ্য, আধুনিকতা, নাটকীয়তা আর নারীর আত্মবিশ্বাস।
রাজশাহীর নারীরা এখন গর্ব করে বলতে পারেন—“আমাদের শহরেই আছে মেহজিন, আমাদের ফ্যাশনের গর্ব!”
রাজশাহীর ফ্যাশন মানচিত্রে মেহজিনের এই নাটকীয় উন্মোচন চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এখানেই শেষ নয়, বরং শুরু—এক নতুন যুগের, এক নতুন ফ্যাশন বিপ্লবের!
আপনিও কি রাজশাহীতে? তাহলে মেহজিনের নতুন ব্রাঞ্চে চলে আসুন, নিজেই হয়ে উঠুন নাটকীয় এই ফ্যাশন বিপ্লবের অংশ