রাজশাহী-বাংলার উত্তরাঞ্চলের গর্ব, পদ্মার পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা ইতিহাস আর ঐতিহ্যের শহর। এই শহর শুধু আম, রেশম কিংবা শিক্ষা নিয়ে বিখ্যাত নয়, বরং ফ্যাশনপ্রেমী মানুষের জন্যও রাজশাহী এক অনন্য নাম। ঠিক এই শহরের বুকে, নতুন এক স্বপ্নের দ্বার উন্মোচন করল দেশের জনপ্রিয় পাঞ্জাবি ব্র্যান্ড ‘মেহজিন’। রাজশাহীর মানুষদের জন্য এটি যেন এক নতুন যুগের সূচনা।
উদ্বোধনের আগের রাতেই শহর যেন অন্যরকম এক উত্তেজনায় ভাসছিল। মেহজিনের নতুন ব্রাঞ্চের সামনে আলো ঝলমলে সজ্জা, ব্যানার, ফেস্টুন আর ফুলের মালায় সাজানো হয়েছে পুরো দোকান। দোকানের কর্মীরা রাতভর ব্যস্ত, যেন কোনো রাজকীয় অতিথির আগমনের প্রস্তুতি চলছে। দোকানের ভেতরে চলছে শেষ মুহূর্তের সাজসজ্জা, প্রতিটি পাঞ্জাবি ঝকঝকে করে গুছিয়ে রাখা হচ্ছে।
এদিকে শহরের ফ্যাশনপ্রেমী তরুণ-তরুণীদের মধ্যে কৌতূহল তুঙ্গে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে খবর-“মেহজিন আসছে রাজশাহীতে!” বন্ধুমহলে চলছে আলোচনা, কে কার আগে যাবে, কে কোন ডিজাইন আগে কিনবে, কী অফার থাকবে-সবাই অপেক্ষায় সেই মাহেন্দ্রক্ষণের।
অবশেষে সেই কাঙ্খিত সকাল। সূর্য উঠেছে একটু বেশিই উজ্জ্বল হয়ে। সকাল ১০টা বাজতেই দোকানের সামনে মানুষের ভিড় জমতে শুরু করল। কেউ এসেছে বন্ধুদের নিয়ে, কেউবা পরিবারের সঙ্গে। মেহজিনের লোগো সম্বলিত ব্যানার আর বেলুনে সাজানো প্রবেশপথ যেন আমন্ত্রিত করছে সবাইকে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন রাজশাহীর বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, ফ্যাশন ডিজাইনার, এবং শহরের তরুণ-তরুণীরা। দোকানের সামনে ছোট্ট মঞ্চ, সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন মেহজিনের কর্ণধার ও রাজশাহীর গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। সবার চোখে মুখে উচ্ছ্বাস আর প্রত্যাশার ঝিলিক।
একসময় শুরু হলো মূল অনুষ্ঠান। মেহজিনের কর্ণধার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বললেন, “রাজশাহীর মানুষের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি আমাদের সেরা কালেকশন। আমরা বিশ্বাস করি, রাজশাহীর ফ্যাশনপ্রেমী মানুষদের চাহিদা পূরণে মেহজিন হবে সেরা ঠিকানা।”
এরপর ফিতা কাটা হলো, সাথে সাথে বাজল করতালি। মুহূর্তেই দোকানের দরজা খুলে গেল, ভেতরে ঢুকল মানুষের ঢল। চারদিকে ক্যামেরার ফ্ল্যাশ, ভিডিওগ্রাফারদের ব্যস্ততা, আর ক্রেতাদের মুখে প্রশংসার হাসি।
রাজশাহীর ফ্যাশন মানচিত্রে মেহজিনের এই সংযোজন নিঃসন্দেহে যুগান্তকারী। কারণ, এতদিন রাজশাহীর মানুষদের ঢাকায় গিয়ে বা অনলাইনে অর্ডার করে মেহজিনের পাঞ্জাবি কিনতে হতো। এবার তারা নিজের শহরেই পেয়ে যাবেন মেহজিনের সignature কালেকশন।
মেহজিনের পাঞ্জাবি মানেই আধুনিক ডিজাইন, আরামদায়ক কাপড়, নিখুঁত কারুকাজ। এখানে পাওয়া যাবে-
এবার চলুন, রাজশাহীর এক তরুণ রাহাতের গল্পে ঢুকে পড়ি। রাহাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, ফ্যাশন নিয়ে তার আলাদা আগ্রহ। ঈদ বা কোনো বিশেষ দিনে সে সবসময় চায় ইউনিক কিছু পরতে। কিন্তু শহরের দোকানগুলোতে অনেক সময় তার পছন্দের ডিজাইন বা ফিটিং পায় না।
মেহজিনের রাজশাহী ব্রাঞ্চ উদ্বোধনের খবর পেয়ে রাহাত আর দেরি করেনি। উদ্বোধনের দিনই সে বন্ধুদের নিয়ে হাজির হলো দোকানে। ভেতরে ঢুকেই সে মুগ্ধ-নতুন ডিজাইন, রঙিন পাঞ্জাবি, আরামদায়ক কাপড়, প্রতিটা পোশাকে যেন শিল্পীর ছোঁয়া।
দোকানের এক পাশে চলছিল ‘স্পিন দ্য হুইল’ অফার। রাহাত ঘুরিয়ে জিতে নিল ২০% ডিসকাউন্ট। সে বেছে নিল একটি সাদা-নীল এমব্রয়ডারির পাঞ্জাবি। দামও হাতের নাগালে। দোকানের কর্মীরা হাসিমুখে তাকে সঠিক ফিটিং দিয়ে দিলো।
ঈদের দিন রাহাত যখন সেই পাঞ্জাবি পরে বের হলো, বন্ধুরা সবাই অবাক-“এত সুন্দর ডিজাইন রাজশাহীতে কই পাইলি?” রাহাত গর্ব করে বলল, “মেহজিন এসেছে আমাদের শহরে!”
শুধু নতুন ব্রাঞ্চ নয়, মেহজিন এনেছে দারুণ সব উদ্বোধনী অফার। প্রথম ১০০ ক্রেতার জন্য ছিলো ফ্রি গিফট, বিশেষ ডিসকাউন্ট, এবং এক্সক্লুসিভ কালেকশন। অনেকে পেয়েছেন স্পিন দ্য হুইল ঘুরিয়ে আকর্ষণীয় ছাড়।
দোকানের ভেতরে ছিলো ফ্রি ফটো বুথ, যেখানে সবাই নিজের ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে পারলো। ছিলো লাইভ মিউজিক, ছোট্ট ফ্যাশন শো, আর কফি কর্নার। পুরো আয়োজনটাই ছিলো এক উৎসবমুখর পরিবেশ।
মেহজিন শুধু পোশাক বিক্রি করে না, তারা দেয় মান, আস্থা আর স্টাইলের নিশ্চয়তা। রাজশাহীর মানুষদের জন্য তারা এনেছে-
মেহজিন রাজশাহীতে আসার ফলে এখানকার তরুণ-তরুণীরা এখন আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী। তারা নিজের শহরেই পাচ্ছে দেশের সেরা ব্র্যান্ডের পোশাক। আর এটাই শহরের ফ্যাশন জগতে এক নতুন যুগের সূচনা।
উদ্বোধনের দিন যারা এসেছিলেন, তারা সবাই মুগ্ধ। কেউ বললেন, “এত সুন্দর কালেকশন আগে রাজশাহীতে দেখিনি।” কেউবা বললেন, “মেহজিনের ফিটিং এক কথায় অসাধারণ।” অনেকে আবার বললেন, “এখন থেকে পাঞ্জাবি কিনতে আর ঢাকায় যেতে হবে না!”
মেহজিন জানিয়েছে, তারা ভবিষ্যতে রাজশাহীতে আরও নতুন নতুন কালেকশন আনবে। বিশেষ করে রাজশাহীর আবহাওয়া ও সংস্কৃতিকে মাথায় রেখে ডিজাইন তৈরি করবে। এছাড়া, স্থানীয় ডিজাইনারদেরও সুযোগ দেবে তাদের সঙ্গে কাজ করার।
মেহজিন রাজশাহী ব্রাঞ্চের শুভ উদ্বোধন শুধু একটি দোকান খোলার ঘটনা নয়-এটি রাজশাহীর ফ্যাশনপ্রেমী মানুষের জন্য এক নতুন ভরসা, নতুন গর্ব। যারা নিজেদের পোশাক নিয়ে সচেতন, যারা চায় ট্র্যাডিশনাল ও আধুনিকতার মিশেল-তাদের জন্য মেহজিন এখন রাজশাহীর নতুন ঠিকানা।
আপনিও চলে আসুন মেহজিন রাজশাহী ব্রাঞ্চে, খুঁজে নিন নিজের পছন্দের পাঞ্জাবি, আর হয়ে উঠুন উৎসবের নায়ক!
মেহজিন-আপনার স্টাইল, আপনার অহংকার!
রাজশাহীর নতুন গর্ব, নতুন ঠিকানা।
এবার উৎসব হোক আরও রঙিন, আরও স্টাইলিশ-মেহজিনের সঙ্গে!